একদিন গতরে খাটার জন্য শহরে এসেছিলে,
শুকনো শরীরটাকে ময়লা কাপড়ে ঢেকে,
গ্রাম্য সরলতার শিকড়টা সঙ্গে করে নিয়ে।
ভীত সন্ত্রস্ত অবাক চাউনি মেলে,
শহরের ফুটপাতে বসেছিলে একপাশে।
কোনও না কোনও বাড়িতে ভেবেছিলে,
সসম্মান কাজের বিনিময়ে ঠাঁই হয়ে যাবে।
কিন্তু সেই শকুনের দল, হাত, পা, মুখ বেঁধে,
ঠিক সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে, এক পাঁচিলের আড়ালে,
ছিনিমিনি খেলেছিল, তোমার অভুক্ত শরীরটাকে নিয়ে।
তারপরেও তোমার প্রাণহীন বিবস্ত্র দেহটাকে,
অন্ধকারে সংজ্ঞাহীন ভেবে খাবলে খুবলে,
জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ভোর রাতে নদীর ধারে।
কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানোর, একতরফা গ্লানিটা
সমাপ্ত হয়েছিল, তিরিশ বছর সহ্য করার পরে।
যেখানেই থাকো, শান্তিতেই থেকো বিদেহী হয়ে,
সহ্য করতে হবে না, পশুদের পাশবিক অত্যাচার,
বিদগ্ধ হতে হবেনা, ঘৃণ্য লোলুপ দৃষ্টির,
পণ্য হতে হবে না, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের,
সম্মুখীন হতে হবে না, অনৈতিক অসহ্য ইশারার।
ভালো থেকো নির্ভয়া।
[কবিতাটি একটি প্রতিবাদী কবিতা, যেখানে অসহায় নারীদের উপর অত্যাচার প্রকটিত। প্রতিবাদ এখান থেকেই উঠুক সোচ্চার হয়ে, প্রজন্ম হোক সমতার।
এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মূলত লেখা। এর জন্য সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে এক স্বচ্ছ মানবিক সমাজ গঠনে। যেখানে নারী পুরুষ ভেদাভেদ নয়, থাকবে শুধু মানবিক মানুষ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক স্বচ্ছ সমাজ গঠনের কাজে সবাইকেই সামিল হতে হবে একদম তৃণমূল স্তর থেকেই।]