তুই তো আমার বন্ধুই ছিলি না কোনকালে,
যদি থাকতিস, তাহলে কি দেখা হতো এইভাবে?
একসঙ্গেই তো পড়তাম দুজনে একই স্কুলে,
তখনও তো পাশাপাশি বসতাম দুজনে।
তুই যেবার প্রথম হলি, আমাদের ক্লাসে-
সেই ক্লাস সেভেন এ,
সেবার কিন্তু বেশ হিংসে হয়েছিল, তোর ওপরে,
তারপর থেকে তো, আমিই প্রথম হতাম ক্লাসে।


কলেজ থেকেই ছাড়াছাড়ি আমাদের মধ‍্যে,
তারপর পার হয়ে গিয়েছিল, কত ঝড় জীবনে।
সেবার তোর সাথে দেখাও হয়েছিল দীঘাতে,
আমি গিয়েছিলাম, আমার পরিবারের সাথে,
তুই একাই গিয়েছিলি, উঠেছিলি অন‍্য হোটেলে,
সমুদ্র সৈকতে দেখে, দৌড়ে গিয়েছিলাম তোর কাছে,
তোর বিয়ে হয়নি শুনে,
আমার স্ত্রী কতই না হাসি ঠাট্টা করেছিল তোর সাথে।


পরের দিন, একটা চিঠি আমাদের ঘরে,
দরজা দিয়ে ঢুকিয়ে, চলে গিয়েছিলি দীঘা ছেড়ে,
সেই দিনটা চির উজ্জ্বল হয়ে আজও মনে আছে,
সেদিন জেনেছিলাম, তোর চাকরিটাও চলে গেছে।
খুব রাগ হয়েছিল, তোর ওপরে!
আমিই তো পারতাম তোকে চাকরি দিতে,
আমার ব‍্যবসায় তুই থাকতিস পার্টনার হয়ে,
আবার স্কুলের দিনগুলোও, পেতাম ফিরে।


গতকালই খবর পেয়েছি, তুই হাসপাতালে,
আজই ছুটে এসেছি, আর ছাড়ছি না তোকে,
তুই এখান থেকে, সোজা যাবি আমাদের বাড়িতে।
কি বললি? যাবি না।
আমি তো তোর বন্ধুই, সেটাও কি মানবি না?
তোর আর কোত্থাও যাওয়া হবে না।
শেষের দিন কটা একসঙ্গেই আনন্দে কাটুক না।