বাইরে বেরতে ইচ্ছে করে না আজকাল,
জীবনের কঠিন সময়গুলোর স্মৃতির আলোড়ন
কেমন নিস্পন্দ করে দিয়েছে ক্ষমতাগুলোকে।
শত চেষ্টাতেও হাসনুহানা বেলফুল জুঁই এর গন্ধ,
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো ইচ্ছেটাকে, পারছে না নড়াতে,
জানলার বাইরের আবেগটা উধাও বিহ্বল প্রান্তরে।


ঘরের কোথাও একটা ঝিঁঝিঁপোকা ডেকেই চলেছে,
তার সাথে দেওয়াল ঘড়িটার টিকটিক, যন্ত্রণা বাড়াচ্ছে,
পৌষের হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় পা দুটো অসাড়,
কয়েকটি প‍্যানপ‍্যানে মশা কোত্থেকে ঠিক জুটে গেছে।
আজ আবার পূর্ণিমা, বাইরেটা চন্দ্রিমায় ঝল্‌সাচ্ছে,
মশারিটা টাঙিয়ে শুয়ে পড়লাম, বেশ রাত হয়েছে।


শীতঘুম সবে মধ‍্যরাতের ওম মেখে কম্বলমুড়ি দিয়েছে,
স্বপ্নের পরীরা হাজির যাদুদণ্ড নিয়ে মশারির বাইরে,
হাতটা বাড়াতেই একটি পরীর যাদুদণ্ডের ছোঁয়া,
চললাম খাল বিল নদীর ওপর দিয়ে পরীদের দেশে।
সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম: পারব তো ফিরতে?
উত্তর এল: ফিরিয়ে দেবার জন‍্য তো নিয়ে যাচ্ছি না।