একটি শিশুর জন্ম,
অভিভাবকের আশা, আকাঙ্ক্ষা
কত পুরোনো স্বপ্ন, কত অপূর্ণ ইচ্ছা
জমিয়ে রাখা কত পুরোনো বাসনা
জন্ম লগ্নে পূর্ণ করার দায় নিয়ে
পৃথিবীতে আবির্ভাব।


দিন কেটে যায়,
অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর কোলে
বড় হয়ে ওঠা দিনগুলোতে
ক্রমশঃ বোধগম্য আপন পর।
এরপর অধিকার বোধের সঙ্গে
জন্ম নেয় আত্মকেন্দ্রিকতা।


বোধ বুদ্ধির প্রথম পাঠেই রুদ্ধ
মনের মতো বন্ধু নির্বাচন।
রাস্তায় আনন্দে বৃষ্টিস্নান
উলঙ্গ হয়ে পুকুরে দাপাদাপি,
অলিগলিতে খেলতে ব্যস্ত যারা,
তাদের দেখাও যে অবাধ্যতা।

মা,বাবা, এসব বুলি ফোটার সাথেই
শুরু এ, বি, সি, ওয়ান, টু, থ্রী।
নেই ঠাকুমার ঝুলি আর গল্প
নেই ঘুমপাড়ানি গান, নেই স্বপ্ন
নেই অনেক সহোদরের সাহচর্য,
বিপর্যস্ত শিশুর মানসিক শৈশব।


সারাদিন অভিবাবকের সাথে
বয়স্ক মানসিকতার গলাধঃকরণ।
হাইব্রিড কিশলয় ক্রমে প্রস্ফুটিত,
সুরু হয় মগজ ধোলাই।
শিশু থেকে কৈশোর
নেই কোনো মুক্ত চিন্তার অধিকার।


বাধ্যতা, আর আনুগত্য
শাসনের প্রধান হাতিয়ার।
প্রাথমিক শিক্ষাই শুরু,
না কে না, হ্যাঁ কে হ্যাঁ বলা দিয়ে।
নিজস্বতা দিয়ে বিসর্জন
হতে হবে শুধু অনুগত।