খাবলে খুবলে খাচ্ছে যারা
তোমার আমার বসুন্ধরা,
তারাই আবার মাথায় চড়ে
দিতে হলেই না না করে।
যখন যেমন তখন তেমন
ভোল পাল্টায় ইচ্ছে মতন,
পোষ্য ভাবের বিনয় কীর্তন
বেলা ফুরোলেই ঘৃণ্য কর্তন।
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
মুচকি হাসি টাকার নেশা,
হাড় হাভাতের ভালোবাসা
পায়ের নিচে কলার খোসা।
বিশাল বাদুড় মেলছে ডানা
ফেলছে ছেয়ে আকাশ খানা,
নরম শরীর টাকায় কেনা
শয়তানদের যায় না গোণা।
দ্বন্দ্ব করে মন্দ জন
নিজের বিবেক আর একজন,
লুকিয়ে থাকে ঘাপটি মেরে
হাসতে হাসতে ছোবল মারে।
বেশী বুঝে হলাম খাসি
হন্যে হয়ে যাচ্ছি কাশী,
ইহজীবন হলে বাসি
তখন কোরো হাসাহাসি।
কাশী> বেনারস> কথিত আছে বৃদ্ধ/বৃদ্ধা বাঙালিরা, যাদের দেখাশোনার কেউ থাকত না, তাঁরা একসময় মৃত্যুর পূর্বে পুণ্য সঞ্চয়ের আশায়, আমৃত্যু কাশীবাসী হয়ে, ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতেন।
অন্যেরা লুটে ভরছে বস্তা,
এখন এমনই এক দুরবস্থা,
নেই কোনো শাসন ব্যবস্থা,
কাশীই একমাত্র যে আস্থা...রূপকের আড়ালে সুন্দর বিবরণ...খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন দাদা।অনাবিল শুভেচ্ছা রইল।
সত্যই কি হিজিবিজি !
চলতি কা নাম জিন্দেগী - বহুকালের থিম
খাবলে খুবলে না খেলে বিলাস ব্যাসন ঢাকবে হিম।
সুন্দর প্রতিবাদী কাব্য ভাবনা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর, ভালো থাকবেন কবি।
অসাধারণ একটা তাল আছে কবিতায়। থিমটিও অসাধারণ। তবে নিচের নোটটি পড়ে বুঝতে পারলাম এটি মানুষের পুণ্যের ধারণা মাত্র। ধর্মীয় নির্দেশনার সাথে তার কোন যোগ নেই। বাংলা সাহিত্যের বহু বহু জায়গায় এই বিষয়টির উল্লেখ আছে। প্রিয় কবিকে ধন্যবাদ।
প্রতিবাদী কলমের অসামান্য ধারালো জ্ঞানের আলো ছড়ানো লেখনিতে মুগ্ধ প্রিয় কবি। শুভবিকাল।।
প্রথম স্তবক : নেতার কুর্কীতি
দ্বিতীয় স্তবক : ঠকের কারসাজি
তৃতীয় স্তবক : নিষ্পেষিত জনসাধারণ!
চমৎকার পরিবেশন। সম্মানিত কবিকে অভিনন্দন মানবিক বোধ সম্পন্ন প্রতিবাদী কবিতার জন্য। ভালো থাকবেন প্রিয়।
হালনাগাদের
হাড় হাভাতে
হিজিবিজির
মরণ ফাঁদে ...
অসাধারণ সৃষ্টি। অভিনন্দন, সম্মানিত কবি।
ছন্দে মোহিত এক অতি বাস্তব প্রতিবাদের কবিতা!!
খুব ভালো লাগলো দাদা।
আপনি ভালো থাকুন সব সময় আর এমন লিখে আনন্দ দিয়ে যান
প্রণাম জানবেন ছোট বোনের।
অসাধারণ
দুর্দান্ত প্রতিবাদী কবিতা। আকৃষ্ট হলাম কবি। বাস্তব সমাজের চেতনা জাগানো একটুকরো চিত্র। আপনার কলমের আঁচড়ে সঠিক পথ দেখুক সমাজ। উদ্ভাসিত হোক মানবতাবাদী জীবনের সুর। শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।
যদিও বলেছেন রম্য কবিতা! কিন্তু আমি রম্য রসের কোন বালাই খুঁজে পাইনি! আমার কাছে এটি ভীষণ সিরিয়াস মানবিক ভাবনার প্রতিবাদী কবিতা! কিন্তু ভালো লেগেছে অন্যখানে! আপনি পদ্য কবিতা লেখেন না! কিন্তু দুই একটি জায়গায় ছন্দের ঘাটতি থাকলেও পুরো কবিতাটা প্রায় ছন্দ মাত্রায় মিলে গেছে! এটা যদি অপরিকল্পিতভাবে হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ করব ছন্দ মাত্রার চর্চাটা একটু করুন! আর যদি ছন্দ-মাত্রা মাথায় রেখেই লিখে থাকেন তাহলে চর্চা বাড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ রইলো! ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়।
রূপকের আড়ালে জীবনমুখী ভাবনার প্রতিবাদী ও রম্য কবিতা, ভাল লাগলো ; শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সম্মানিত কবি, প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। মুগ্ধকর হয়েছে। শুভ কামনা রইলো।
অসাধারণ।
অতি সুন্দর ছন্দময় প্রতিবাদী রম্য রচনা। ভীষনই
মন কাড়ে। হার্দিক শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভকামনা।
সাদা কালো দুটো রঙ
নিষ্পেষণে বাহারি ঢঙ ।
প্রজাপতি উড়ছে বুঝি
ভাবনা কীসের হিজিবিজি ।
যে পারে সে করে খায়, দুর্জনের চোখ টাটায় ।
অশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাই, ভালো থেকো ।
মানুষ জীব এমন হিজিবিজিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
মানুষ কৃত্রিমত্তার কৃষ্টিধারা রপ্তে মহারাজা।
কি কারণে কি করতে চায় তার বোধগম্যতা হারিয়ে ফেলে কোনও এক অপার্থিব কল্পনায় মজে।
জীবনব্যাপী ছলতাতুরী আর বেলা শেষে অন্ধে ডুবে ভালো হতে ধান্দা খোঁজে।
অপূর্ব অনুপম কাব্য প্রকাশ।
হার্দিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানবেন প্রিয় শ্রদ্ধেয় জ্ঞানবান কবি।
ভালো থাকুন অবিরত।
অসাধারণ প্রতিবাদী উপস্থাপন খুবই ভালো লাগল।
"নরম শরীর টাকায় কেনা
শয়তানদের যায় না গোণা।"
অপূর্ব ! অপূর্ব ! কত ভদ্র ভাষায় তির্যকে দ্রোহ কথা । পুরো কাব্যটাই সমাজ পতনের এক দলিল , সুন্দর তার কাব্যিক বিন্ন্যাস ,মুগ্ধ ।
সুপ্রভাত , প্রিয়কবিকে অশেষ শুভকামনা , ভাল থাকুন সদা ।
আপনার মনোহর ভাবনার কবিতাটি পড়ে মন ছুঁয়ে গেলো ।। আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন ।। শুভ কামনা অবিরত ।। শুভ রাত্রি প্রিয় কবি
মোটেই নয় হিজিবিজি
কবিতায় সব স্বচ্ছ ছবি
রম্য লিখেছেন দীপ্তেন্দু কবি
কাব্যে জাগরণী বৈভবী***
রূপকে চমৎকার ছন্দময় রম্য কবিতা। দারুণ মুগ্ধ পাঠে।
অশেষ শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।