দূর থেকে ভেসে আসে ভাটিয়ালি গান
প্রভাতী সুরের রাগে মাঝ দরিয়ায়,
নৌকাটা ভেসে যায় রাঙা আঙিনায়,
মাছরাঙা বসে আছে ভেসে যাওয়া ডালে,
ঘাটেতে অপেক্ষারত ফেরি পারা পারে।


আঁধারের ফেলে যাওয়া পার্থিব জগতে
সূর্যের আলো ভরে দিগন্ত ছড়িয়ে,
পাখিরা ভোরের আলো চোখ মেলে দেখে,
নিশাচর ঘরে ফেরে আঁধারের সাথে,
মাঝি তার নৌকায়, আসে ফেরিঘাটে।


ওপারেতে বহু আগে জীবনের শুরু
প্রথম লোকাল ট্রেন আসে শেষ রাতে,
সব্জির ঝাঁকা উঠে ট্রেন ভরে থাকে,
এ পাড়ে তখনও কুকুর কুন্ডলি পাকিয়ে,
কুঁজি বুড়ি বাগানের ফুল চুরি করে।


ও পাড়ে ব্যস্ত শহর সারারাত জাগে,
মেল ট্রেন বুক চিরে তুফানি গতিতে,
মালগাড়ি জোড়াজুড়ি ইয়ার্ড লাইনে,
সারি সারি বাস ট্রাক হাইওয়ে ধরে,
ধাবায় রাতের ঠেকে জুয়া খেলা চলে।


এ পাড়ে ঘুমের পরী, তারা থেকে নামে,
কলাগাছ মাথা নাড়ে জানালার পাশে,
গ্রামের পাহাড়াদার লাঠি হাতে ঘোরে,
শিয়াল মুরগির ছানা চুরি করে ফেরে,
শান্তিতে ঘুমোয় গ্রাম, নিশুতির রাতে।


সারাদিন খেয়া চলে, কত আনাগোনা,
দিনে দিনে হয়ে যায় সব চেনাজানা,
জোয়ার ভাঁটার মতো সবার খবর,
মাঝি দাঁড় বেয়ে চলে চারটি প্রহর-
গ্রামের জীবন বাঁধে শহরের সাথে।