সারাটা দিন পেটে কিছু পড়ে নি,
সূয‍্যি তো প্রায় ডোবে ডোবে,
একটু একটু গাছ গজানো কটা আলু,
ঘরে কোথায় যেন রাখা ছিল,
উপোসী শরীরটা হন‍্যে হয়ে খুঁজে, অবশেষে পেল।


আজকাল অন্ধকার হলে
পিদিমের আলোয়, দেখা যায় সরসর করে
একটা সাপ বেরিয়ে যায়, ঘর থেকে বাইরে।
কোথায় থাকে, কখন ফেরে, কে জানে?
মোক্ষদা মাসির বুকটা ধরাস ধরাস করে।


সেই কতকাল আগে ঝুপড়িটা বানিয়েছিল,
জঙ্গলের ধারে, মাসির মরদ আর মাসি।
সে মরদও তো কবেই চলে গেল!
তারপর সে কত ঝামেলা,
ঝুপড়িটা মদের ঠেক হয়ে গেল।


যৌবন যেতেই আস্তে আস্তে সব ফাঁকা,
তবে সেই মোড়ল, এখনও মাঝেমধ‍্যে রাতে আসে,
একটা বোতল বগলে করে, সাথে কিছু খাবারও আনে।
সেও তো কদিন আর আসছে না সাপের ভয়ে,
পোড়ারমুখো কি ভেগেই গেল?


বহুদিন গরম ভাত পেটে পড়ে নি,
অন্ধকার হয়ে আসে, মোড়ল কি এলো?
লাঠি ধরে উঠতে গিয়ে, পায়ে কিসের যেন কামড়,
চিৎকার করলো,কেউ এলো না, শরীর ঝিমঝিম করছে,
মোক্ষদা মাসি চলল, নতুন জীবনের খোঁজে।