কায়মনোবাক্যে চেয়েছিলাম
দখিনা বাতাসের মৃদু আলোড়ন,
যেখানে থাকবে একটি নতুন ফোটা
শিমুল অথবা পলাশের সলজ্জ রক্তিমতা,
কুহু কুহু ডাকের আগমনী বার্তা
মিশে যাবে আজন্ম লালিত ঠিকানায়।
পৌঁছে গিয়েছিলাম মনে মনে বসন্ত উৎসবে,
যেখানে চারিদিক বন্দিত ছিল
কোকিলের সুরেলা কুহু কুহু স্বরে।
কিন্তু দিগন্ত বিস্তৃত পিপাসার্ত মানুষের মিছিলে
দেখেছিলাম দাবিদাওয়া উশুলের নকশি কাঁথায়,
নির্লজ্জ তুলাদণ্ডের পার্থিব হিসেব নিকেশ।
সাহসী হয়ে সুনামির মুখোমুখি হই নি কখনও,
ভেসে যাই নি কখনও, কোনও কামনার চোরাস্রোতেও,
তবুও সমুদ্রের ঢেউ যা আছড়ে পড়ে তটে প্রতিনিয়ত,
বয়ে আনে সামুদ্রিক ঝিনুক জীবিত অথবা মৃত,
মুক্তো সন্ধানে তাদের প্রতিবারই করেছি ব্যবচ্ছেদ,
না পাওয়ার বেদনায়, কান্না শুনেছি কত মৃত ঝিনুকের।
এভাবেই ভগ্নমনোরথ হয়েছি বারংবার,
তবুও আশায় বুক বেঁধেছি প্রতিবার,
আশেপাশের জনপদ কেন যে উচ্ছ্বাসহীন প্রতিদিন?
চুপিচুপি কেন যে হয় শুধু আমারই হৃদয়ে ক্ষরণ?
ক্ষুধিত পাষাণের অলিতে গলিতে শুধু শোনা যায়
তফাত্ যাও, তফাত্ যাও, সব ঝুট হ্যায়।