ভোর না হতেই বসাক বাড়ি বাঁধলো তুমুল দ্বন্দ্ব
চড়েনি তাই হাঁড়ি চুলোয় রান্নাবাটি বন্ধ।
রসুইঘরে  ঢ্যাঁড়স-পটল সেকি ভীষণ ঝগড়ায়
উচ্চস্বরে চলছে তর্ক হাতাহাতির পর্যায়।
ঢ্যাঁড়স বলে শোন রে পটল তুই যে বড় হেয়
কর্তাবাবুর কাছে আমি সর্বদা রই প্রিয়।
বেজায় রেগে পটল এবার দিল তার উত্তর
বড় এলে কর্তাবাবুর রাজ'নবাবী পুত্তর।
গতরখানি একটিবারেক আয়না দিয়ে দ্যাখ্
দর্প সবই চূর্ণ হবে খাইলে পরে ছ্যাঁক।
চুপ রে মোটা চোখ রাঙিয়ে বলে ঢ্যাঁড়স'নন্দ
ভুঁড়ির জেরে তোর চলাচল বেজায় হল বন্ধ।
বেগুন ভায়াই বলুক তবে কে ভালো কে মন্দ
পটলবাবু দিল প্রস্তাব নিয়ে মনের ধন্দ।
সইতে নারি বেগুন ভায়া খুলল এবার মুখ
ক্যান্ জানিনে তোদের এত হিংসেয় ভরা বুক!
এইযে পটল বড়াই করো আপন রূপের বেশে
কর্তা তোমার ছাল ছাড়াবে আঁশবটিতে ঘষে।
ঢ্যাঁড়স তুমি দাঁত খিঁচিয়ে হেসো না আর বেশি
তোমার ভাপী ভালোবাসেন কর্তাবাবুর পিসি।
আমরা সবাই প্রজারূপী খাদ্য তাদের কাছে
তবে কেন আপনজনে ঝগড়া করছো মিছে?
শুনেছ কি বাঘ-ছাগলে মিত্র কভু হয়!  
কর্তা-প্রজায় সমান ফারাক গুণীজনে কয়।
তাই বলি ভাই লাভ কি বলো মন্দ ভালো ঘেঁটে
সত্য এটাই সবাই আমরা যাব কর্তার পেটে।
                
-------------------
০৪/১০/২০১৬
কল্যাণী, নদীয়া