নাঁড়ুগোপাল নন্দী নন্দপুরে বাসা
নামে আর চেহারায় মিলখানি খাসা।
দিই তার বর্ণনা শোনো চুপ করে
পাবে তার পরিচয় পরে ধীরে ধীরে।
কালো রঙ ছাতাখানি মাথায় তুলে
জব্বেশ ভুঁড়ি নিয়ে চলে হেলে দুলে।
নাকে তার গোলাকার চশমাটি ঘোলাটে
বিরাট তিলক ফোঁটা সজ্জিত  ললাটে।
চোখদুটি গোল গোল যেন রসগোল্লা
গুটিকতক ছোঁকরা পাছে করে হল্লা।
চকচকে টাকটায় হাতেগোনা কেশ
হিটলারী গোঁফটা লাগছে বেশ।
পিছু পিছু চলেছে একটি মূর্তি
মুখে তার ফুঁটে আছে একরাশ ফুর্তি।
দুইখানি দন্ত ঘরে কভু ঢোকেনা
খুশিতে মুখটায় হাসি আর ধরে না।
এই হল ভ্যাবলা নাঁড়ুর নন্দ
সেন্টের গন্ধে নাক হল বন্ধ।
হাঁচ্চি...হি, হাঁচ্চি...হি, যায় না থামা
হাঁচ্চির দাপটে ভেজালো জামা।
এইবার বলা যাক্ আসল কথা
নাঁড়ু আর ভ্যাবলা চলেছে কোথা।
তড়িঘড়ি এমাসেই সাজবে দুলা
গদ গদ ক্যাবলা, থুড়ি! থুড়ি! ভ্যাবলা।
আট মাইল রাস্তা দিয়ে হামাগুড়ি
অবশেষে আসা হল কন্যের বাড়ি।
রকমারি মিষ্টিতে সাজানো প্লেট
ফটাফট ভ্যাবলা ভরে নিলো পেট।
'দেনা আর পাওনা সারা যাক তবে
লাখ চারেক ক্যাশ আগেভাগে দিবে।
তৎসহ দিবে আরও দশ ভরি সোনা
খাট আর আসবাব, বলতেই লাগে না।
হুন্ডার কথাটি ভুলিও না ভাই
এইটুকু ছাড়া আর কিচ্ছু না চাই।'
এইবার ভ্যাবলার ফুঁটেছে বুলি
'ঘড়িটার কথা যে গিয়েছো ভুলি!
ঘড়ি বিনা হাতটা যে খালি খালি লাগে
একথাই তোমাকে বলেছিলেম আগে।'
সবকিছু শুনে শেষে কন্যের বাপ
বলে, 'বাপু মোরে করো হে মাপ!
ওহে নাঁড়ু, তোমার এ বলদখানা
হাঁটে নিয়ে দেখো বিকোয় কিনা?
আমার তো ভাই চাষজমি নাই
বলদ কিনবো তাই কিসের বালাই?'


----------------
১৬/০৮/২০১৭
কল্যাণী, নদীয়া