.... বহুদিন যাবৎ চর্মরোগে আক্রান্ত
নাভিশ্বাস উঠছে, এখন তখন অবস্থা
পুবপশ্চিম দক্ষিণ খোলা,তেমাথার মোড়ে
এখনো অবধি... ফুসফুস আর দম টানতে     পারছেনা, বাড়ির ভেতর থেকে তিনটি স্থাবর
ক্ষুধাকাতর কন্ঠস্বর ভেসে আসে পথচলতি  
মানুযের কানে এবং প্রায়শঃ ; তাহাদের কিছু
দয়াপরবশ কান মাঝে মধ্যে গরাদের ফাঁক
দিয়ে বিস্কুট অথবা কমলা লেবুর ঠোঙা ঢুকিয়ে দেয়


সময় কাউকে রেয়াত্ করে না .....
হারাধনের ষোলটির মধ্যে তেরোটি আগেই গেছে,
ভাগশেষ তিন,একে একে দেউটি নিবিছে  ...
রইলো বাকি এক ...  তাও নিবু নিবু


গতস্য দুজনের আজ পারলৌকিক ক্রিয়া, -- সংক্ষিপ্ত সংস্কার,এবএ যারাই করুক, এরই মধ্যে
সকাল থেকে কিছু শশব্যস্ত পা প্রবৃত্তিতাড়িত...
অকুস্থলে আনাগোনা করছে এবং কিছু চকচকে
হাত ( জিভেরজলে ভিজে কিংবা সোনার আভায়
মানে আংটি চ্যাটার্জি) সম্ভবত কারুর অণুপ্রেরণা
পেয়ে নিজের নিজের পকেট খসিয়ে বিস্কুট সহ চায়ের কাপগুলো সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়
টাইম টু টাইম, পরোপকারের পরাকাষ্ঠা  ;


বাবু বলিলেন এ জমি লইবো.... দীঘে প্রস্থে
সমান হবে...  প্রোজেক্ট, কত কোটি ?  থুড়ি রাজ্য নির্মানশিল্প এবং ছ'কাঠা জমিসহ দালানবাড়িটা
তেমাথার মোড়ে জাম্বো হাতুড়ির অপেক্ষায়
শেষ প্রহর গুনছে