সিন -- ১০১, শট -- ১০২, টেক -- ওয়ান
দিন।  ক্যামেরা ট্রলি করে এগিয়ে যায়,প্যান --
দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। সারিবদ্ধ মানুষের ভিড়
মদের দোকানের সামনে আঁকা খড়ির গন্ডির
মান্যতা ছাপিয়ে মানুষ আর মানুষ -- দীর্ঘ উপবাস
ভাঙবে আজ। চার দিকে ফুটে ওঠে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস


কাট টু -- রাত :: পাঁচিল টপকে লাফিয়ে ওঠে
চার পুরুষের শীৎকার। চাপা পড়ে যায় চিৎকার
আর কান্না, যন্ত্রণা,কাতরোক্তি। ফোয়ারা ছোটে
মদের -- বাংলার  চুল্লুর প্রিমিয়ার অফিসারস্ --
কামদুনির, কাঠুয়ার,সিমুলিয়ার,নির্ভয়ার পর পর
রিরংসা-লাঞ্ছিত ছবি মন্তাজে, কোলাজে ইন্টারকাটে


ডিজলভ্ টু -- সেক্স চাই আরো কড়া ডোজে
লং থেকে মিড লং হয়ে ক্লোজে  -- বিগ ক্লোজে।
স্থান কাল বদলে যায়, বদল হয়না দৃশ্যে,
তাই ওয়ান টেক-এ ওকে সব। ডিরেক্টর শেষে
সেন্সরের ভয় পায় -- বাস্তবে ঘটলেও তা
অনুমোদন পাবে কি শিল্পের স্বধীনতা ?


একটু সরেই আসা যাক তবে, পাল্টে যাক পট
কিন্তু পাল্টাবে না প্লট -- সব চাহিদামতোই থাকবে
যেমন প্রডিউসার চাইবে --দর্শক হবে খুশি
কামদুনির ঝোপঝাড়ে হবে সধবার একাদশী।
স্টার্ট সাউন্ড, স্টার্ট ক্যামেরা, অ্যাকশন -- বলাতেই
আদুরীর বুকের আঁচল খসবেই, নিমচাঁদ ঝাঁপাবেই
বলাৎকারের জন্য, যখন করোনাগন্ডি থেকে উঠে আসে
এক মাতাল-- প্যান্ট খুলে পতাকা উড়িয়ে ঢুকে যায়
দৃশ্যে।
চিত্রনাট্য ছিঁড়ে, দৃশ্যপট গুড়িয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকে :
কে রে শ্লাঃ !  খানকির ছেলে -- আমার পোঁদে লাগে কে ?
তোদের হিস্যা কোথা থেকে আসে,কোথায় চলে যায়?
টাকাও মাল, মদও মাল,নারীও মাল কার
অনুপেররররনায় ?
কাট্ কাট্ কাট্ ! ডিরেক্টর নয়,প্রোডিউসার বলে ওঠে
এই দৃশ্য রাখা যাবে না, কে কোথায় যাবে চটে!
এন জি,এন জি, নো গুড শট,বাতিল ধরে নিয়ে
এখন হবে রবীন্দ্র গান যৌন প্রতীক দিয়ে।
আবার শুটিং শুরু,সাউন্ড, ক্যামেরা, ক্লাপস্টিক,সিন এক্স বাই
শট ওয়াই বাই টেক ওয়ান,সব ঠিক,কান খাড়া করে
প্রোডিউসার শোনে কে কোথায় কী বলছে। শুধু ডিরেক্টর বলে : স্ স্ স্ ! চোপ্ শুটিং চলছে --


শান্তাতা কোর্ট চালু আহে --
শান্তাতা শুটিং চালু আহে --
চোপ্ আদালত চলছে --