ওই যে উঠে এলো নবীন বর্ষাধারা বেয়ে
কেতকী কেশরী কামিনী বনমল্লিকা সব
মেঘলা আকাশের ওড়না সরিয়ে প্রফুল্ল কানন
যূথী  জাতী কমলিকা, অস্ফুট হাসি ওষ্ঠ অধরে
সুগন্ধ ঢালা এলোচুলে চঞ্চল বাস কলাপী ছন্দে
মযূরীমন নেচে ওঠে বনপথে  যেতে যেতে...


শ্রাবণ ঘনঘটা অক্লান্ত ভেজা বাতাসে
চম্পকবন দিয়েছে সাড়া, সোনার আভায়
জাগে অরুণকান্তি কদম্ব কেশর, নীপবীথিকার রূপসজ্জা
পত্রে পত্রে চঞ্চলিয়া ঋজু বক্ষ প্রসারি তমাল বনরাজী
গোপন কোষে কোষে ভরেছে সৌরভ সুধা বিভোল
ছড়িয়ে দিগন্ত কোণে আবেশে জড়ায়


উচ্চ্ছল বরষা শ্যামাঙ্গী, মুখর উচ্ছ্বাস গীতি
রয়ে রয়ে বাজে বিলম্বিত্ মধ্যমান লয়
নদীজল ছলছল কলকল কূল ছেপে
ছুঁয়ে যায় বনতল ছায়া ছায়া প্রান্তরে
গভীর কী আশায় ছুটেছে মন অশান্ত ব্যাকুল
শত যুগের বাঞ্ছিত প্রেম সুদূরের পথ চেয়ে ....