১
মধ্যদিনের অলস দুপুর গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেল ছুঁতে ধীর পায়ে চলে এগিয়ে দাঁড়িয়ে আছি তিনতলার বিশাল খোলা ছাদে আলসেতে ভর দিয়ে গভীর নির্জনতা একলা সাধে আষাঢ়-ভেজা ভাবুক বাতাস জড়ায় সমস্ত শরীরে এ প্রান্ত থেকে বিশাল ও প্রান্ত, সারা ছাদ ঘুরে ফেরে প্রাক্ বিকেলের আত্ম -মগ্নতা, উন্মন মন কথাহারা কার বুকে জেগে ওঠে শত শত কথা কত ব্যথাভরা স্তব্ধ নিবিড় নীরব গাছের দল সব সঙ্গ দিয়েছে নিঃসঙ্গ একলা আমায় মিতালি করে নিয়েছে প্রেক্ষাপট সাযুজ্য রেখে নিবন্ধ রচনা অতিমারির আবহচিত্র অস্থির সুরে নিপুন দক্ষতা যেন শিল্পের ভাবনা ছাড়িয়ে ভাবনার দল মনের মেঘে মেশে কোথায় হারায় কোথায় খোঁজে কাকে অসম্ভবের দেশে...
২ ছোট্ট একটা বাগান একধার জুড়ে ছাদের, শ্যামল ছায়া যূথি মল্লিকা হাসে নবধারা জলে স্নান সেরে,দোলে হিল্লোলে পাতাবাহার সেজেছে মনচোরারঙ্ মেখে অপূর্ব সাজ খোলে হাত ইশারায় ডাকে শিশু বাহারি গাছটা, মুখে ওর কী মায়া
ঘন সবুজ-হলুূদ রংমিশেলে বাটিক শিল্পচর্চিত অপূর্ব পোষাক -- ইশারায় ডেকে বলে -- আমায় আদর করো খুব স্পর্শ দিয়ে, চুমে গল্প শোনাও আমাকে সব ভিতর-রাজ্যে আছে যে তোমার জমে মনে পড়ে সেদিনের কথা,ছিল নালার পাশে পথে অনাদরে নির্বাক
মমতাভ'রে তুলে এনেছি ওকে ছাদের বাগানে ছোট্ট মাটির টবে জল আলো বাতাস খাদ্যপ্রাণ পেয়ে চোখ ফুটেছে তুলতুল নিজের শক্তিতে বৃদ্ধি চঞ্চলপ্রাণ, পাতায় পাতায় হাসি অতুল গোধুলির রং মেখে মুখ লুকায় শ্রান্তখেলা শ্রাবনসন্ধ্যা নামে তবে
নির্জন আমি গড়ানো দুপুরের আলস্য জড়িয়ে, ভাবের ভ্রান্তিবিলাস নীরব ভাষা মুখর বৃক্ষশিশুটি আমাকে সঙ্গী পেয়ে পাতায় পাতায় উল্লাস