সৃষ্টির আদি বীজসম্ভূতা বিবর্তিত প্রাণের শ্রেষ্ঠ রূপ
শুভ কল্যাণী বিশ্ব চরাচরে তুমি নারী, সৃষ্টির উজানিধারা যুগে যুগে বিকশিতা শক্তি আধারে
জগৎ গরিমা বিশ্ব আলোকিনী তুমি নারী !


আর্যঋষি দিয়েছিল সত্যমূল্য তোমাকে নারীর প্রাপ্য
সম্মান অধিকার পুরুষসমান, সূক্তমন্ত্রের রূপকার
ঋষিসম শাশ্বত,  তুমি অপালা বিশ্ববারা বিদূষী মৈত্রেয়ী, বাক্ বিধুরা খনা লীলাবতী, প্রতিষ্ঠা
দিয়েছো বিশ্বমাঝে উজ্জ্বলা নিজেকে !


তুমি উঠে এসেছিলে সহমরণচিতা থেকে আগুন-
হাতে বিদ্রোহিনী ভয়ংকরী ক্লেদাক্ত নিষ্ঠুর দয়াহীন
পৌরুষসমাজের লজ্জা ঢেকে দিতে, তুমি স্বাধীন-
চেতনাতুরা লক্ষীবাঈ দৃপ্ত তেজস্বিনী অমর ইতিহাস
তুমি রণমাতঙ্গিনী রক্তধূলায় লেখা আছে তোমার দেশপ্রেম, তুমি ' কল্পনা' পাখা মেলে মহাকাশ
পাড়ি দাও, কোকিলের সুরে ' লতা ' বল্লরী ' সন্ধ্যা' আকাশে গানের দীপ জ্বালো,'যামিনি' কলাবতী রূপে
রচে যাও মোহিনী নৃত্যছন্দ নানা বিভঙ্গে  --
মেধাবুদ্ধি খ্যাতির আকাশে সপ্তঋষির চেয়ে বেশি উজ্জ্বল, তব শক্তির গতিরথ জয়োদ্ধত দুর্বার দুর্জয়!


নও তুমি আজ আদিম বসন্ত প্রাতে মথিতসাগর থেকে উঠে আাসা নন্দনবাসীবিলাসিনী উর্বসী, নও
শুধু পুরুষের কামনার ভোজ্য মাংসপিন্ড, নও শুধু
কবির কল্পনা শিল্পির মনোরঙে রঞ্জনা,তুমি বিচিত্রা
নব নব ভাব রসরূপে সবকাজে সব মাঝে
যদি দেখি চোখের আলোয়, তুমি শতরূপা স্নেহময়ী
মায়াময়ী সুকন্যা সুসখী, যদি ডাক পাঠাই অন্তরে
বাহিরে দেখি জ্যোতির্ময়ী অনন্যা তুমি নারী !