কালো বলে অবিরাম বদনাম।
সেই ছোট্ট থেকে "কেলো" শব্দটা শুনতাম।


আমার চামড়ার রঙ আমি ঠিক করিনি।
কিছু জৈবরাসায়নিক কাজ ইহাতে দায়ি।


একে মেয়ে তায় কালো কে বলবে মোরে ভালো?
যতই লোকে বইতে পড়ুক "কালো জগতের আলো"।


সেদিন এক পাত্রপক্ষ এসে মুখের ওপর "না" বলে গেল।
বাবার মুখ সেদিন দেখেছিলেম কি নিকশ কালো।


মা কে দেখলাম তখনো ফরসা রঙের করছে অহংকার।
বাবা যে কালো তাই হতাশা বুকে চেপে করছে হাহাকার।


এক পাত্র এসে জুড়ে দিল পনের দর কসাকসি।
বাবা সেদিন নিজের কিডনিও বেচে দেয় এমনই মতি।


আমি ততখনাৎ নিলেম সিদ্ধান্ত।
এ জীবনেই রঙের দালালদের করব পরাস্ত।


যথারীতি ঈশ্বর দিলেন আশির্বাদ।
হলেম আমি এ ডি জে মুর্শিদাবাদ।


আমার কোর্টই এল সেই কেস।
আমার প্রথম পাত্রেরে পর্যুদস্ত করা পত্নীর কেস।


শুনানিতে দেখিনু,সেই সৈরাচারী স্বেত বর্ণ নারী কে।
সব শুশে নিয়েছেন, সে তার ফর্সা পিয়াসি হতভাগ্য পতি কে।


মন্ত্রের মত রায়দান দিলাম, ঐ ফর্সা নারীর বিপক্ষে।
পুরাতন পাত্র মোর দেখি কাঁদিতেছেন মোর সম্মুখে।