আমি যে জানি না এটি মোহ না প্রেম
আমার হৃদয়ে তুমি উজলা হেম।
তোমার অন্তরে দেখি আমার ছবি
আমার হৃদয়ে তুমি ভাবনা কবি।
তোমাকে দেখলে শুধু আমাকে পাই
হৃদয়ে হৃদয় ওগো পায় যে ঠাঁই।
তুমি যে আছ তিল একটু দূরে
যেন ওষ্ঠ থেকে সদা বাঁশির সুরে।
কি জানি মধুর এক অনন্য টান
তুমি প্রেম্ সুর আর আমি যে গান।


যখন শহরেতে ছিলাম আমি অধ্যয়নে
হ্যাঁ, দেখেছি অনেক ললনা রূপসী নয়নে।
একটা মুহূর্তে জন্য ওরা পারেনি লোভাতে
পারেনি রূপের উষ্ণতায় হৃদয় গলাতে।
শৈশবে সেই দেখা হৃদয় মনে ব্যাকুলতা
ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে ওঠা হৃদয়ে নন্দিতা।
জানি না কিভাবে জন্ম এই অনুভূতি টান
যেন হৃদয়ের ব্যাকুলতা করে খান খান।
কেন জানি প্রেমের মায়ার স্রোতে ভেসে যাই
বন্ধুকে নিয়ে বিকেলে আর বাড়িতে যে নাই।
মাঝি হীন তরী মন বলে তোমাকে যে চাই
দূর হতে নয় দূরে তারে দেখতে যে পাই।
কখনও ছোট্ট বোন সাথে কিংবা বই হাতে
এরূপ দেখে আমার মন যে উল্লাসে মাতে।
হ্যাঁ, যেন ইচ্ছে করে এখুনি ছুটে যাই কাছে
বলে ফেলি প্রেম্ গান সুর ধরে পাখি গাছে!
পারি না, সমাজের বদ্ধতা এখনও আছে
পিতার বন্ধুত্ব ও আমার বেকারত্ব পাছে।
আসবে একদিন ঘুচবে সমস্ত বদ্ধতা
তখন মিলবে আমার 'সু' তোমার 'নন্দিতা'।


রচনাকাল -
নিজ বাসভবন,
২৭/০৬/২০২০
সকাল-১০:৪০