নিয়মিত বিকেল
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)


আবারও আমি মজলুম, আরেকটি বিকেলপনায়।


সাধারণত এরকম পরিষ্কার-রাঙা বিকালেই
আমাদের সূর্য দূরের সীমানাকে কাছে টেনে নিয়ে আসে।
আর তার উপর যদি বাইরে পা বাড়াই
তাহলে তো আর দেখতেই নেই—
          কপালে জুটতেই হবে অজুত-নিযুত প্রাপ্তিযোগ হাজার হাজার।
এই যেমন আমার পায়ের শব্দে সঙ্গ নেবে, পরিচিত মহলকটা।
আর গলির মধ্যে বইতে থাকা বাতাসটা
আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে ফালি ফালি হয়ে ছিঁয়ে যায়।
শুধু রাস্তায় মাঝে দুটি কুকুরের বেঢপভাবে নিজস্ব হওয়াটা
সাময়িকভাবে বিগড়ে যায়।
আমি আরো কিছু ঘটনা মুলতুবি রেখে
আরেকটু আগিয়ে যাই।
ছোটো রাস্তাটা যেখানে দুর্দান্ত সাহস দেখিয়ে, বড় রাস্তায় সাথে
জোড়াজুড়ি করে পড়ে আছে, তার শেষ সীমানায়...
চায়ের ভাঁড়ে অনেকটা জবরদখল হওয়া রাস্তায় পৌঁছে দেখি
উক্ত্য এলাকায় আবর্জনা ভাগাভাগি বিষয়ে
গুটিকয় কাকের বিরুদ্ধে একঝাঁক ছাতারে পাখির বিদ্রোহ ঘোষনা।
এসব দিলখোলা বিষয়ে আপাতত হৃদয় ভরে যায়।


এখন :
এখানে পৌঁছে প্রথমেই যেটা সবার বেশি চোখে পড়ে ;
গেটের দু’পাশে রাখা দুটি ভোগেনবেলিয়ার দিনদিন
ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
আরো গুটি কয় পা ফেললেই...
সম্মুখে, বিস্তৃত ঘাসেদের বুকের জোর করে পেতে রাখা
বেঞ্চের উপর বসে থেকে, নিঃখরচায়
নিজেকে নিজের মালিক করা।


ল্যাঠা এখানেই চুকে গেলে ভালো হত।
কিন্তু না—
শুধু একটা জুলুম তখনও সমানে থাকে
ঐ যে সামনে দেখতে পারছেন কিছুটা ফাঁকা জায়গা ;
উথলে ওঠা দমকা হাসিতে সারাবাড়ি মাত করে রাখত যে মেয়েটা
এটা তারই চিতা।


মানামা, বাহ্-রাইন
২২.০৪.২০১৬