প্রিয়তম -
ভেবেছিলেম উত্তর না এলে নাই বা দিলেম পত্র।
জানিনা মনের কি যে হল আজ
লেখনী সচল হয়ে সৃষ্টি করল লিপিকার।
হায় রে মন! কৈশোরের সখ্যতা, যৌবনের মত্ততা,
বারংবার প্রতিহত হয়েও যে ছুটে যায় সে প্রেম।
অল্পদিনের পরিচয় - নেহাতই আলাপ, ক্রমে সখ্যতা,
একসাথে পড়াশুনা সঙ্গীতচর্চা রাজনীতির মঞ্চ।
জানিনা কখন নিজের অজান্তে মনের কোণে
জমেছে এক খণ্ড ভালোবাসার মেঘ।
যে কুঁড়িটা জন্মেছিল অবাঞ্ছিত জংলা গাছটার শাখায়,
সে বুঝি ভুলেছিল সকলে প্রকৃতির মত নয় দরদী।
কি অন্যায় কি অন্যায়, অবহেলিতের কি দুঃসাহস।
চোখে তার স্বপ্ন ফুল হয়ে ফুটে ওঠার।
অবহেলিত অবাঞ্ছিতের নেই সেই অধিকার।
নিমেষে রসদ হল বন্ধ, সমূলে সে হল উৎপাটিত।
প্রথম যে এসেছিল মনে, স্বপ্ন দেখেছি যাকে
অবহেলায় হাসিমুখে বারংবার দিলে মোরে ফিরায়ে।
আচম্বিতে হল সাক্ষাৎ এক জলসায়।
গর্বভরে দেখালে তুমি শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার।
শত প্রশ্নের পাইনি কোন উত্তর।
বিদায় ক্ষণে মৃদু স্বরে বলেছিলে, বদলে গেছ অনেক,
অনেক কিছু ছিল বলার হল না বলা।
শোনার আশায় হতে হল ব্যর্থ।
জানিনা এ চিঠি তুমি পড়বে কিনা।
জানিনা জবাব দেবে কি না কোন।
হয়তো সময়াভাবে হবে না পড়া,
হয়তো বা অবজ্ঞায় বা অবচেতনায় দেবে ফলে।
জীবনের সূর্যাস্ত বেলায় হয়তো বলবে-
নাইবা বাসলেম ভালো, নাইবা রাখলেম মনে
তবু তো রইলেম অমর হয়ে তাঁর পত্রের মাধ্যমে।
তবু বলি, আমি ছিলাম আছি থাকব চিরকাল
তোমার ঘৃণায়- অবজ্ঞায়- অবহেলায় তোমার হয়ে
জঙ্গলের অবহেলিত কুঁড়ির মতন।