ন্যাংটো খোকা
কোথায় যেন ফুটছিল ভাত তিনতলার এক ঘরে
ভাতের গন্ধে ন্যাংটো খোকা দাঁড়ায় পথের ধারে।
কতদিন তার জোটেনি খাওয়ার পড়নেতে নেই বেশ।
ভাতের গন্ধে মনে পরে যায় কোথায় আপন দেশ।
বাবা যে তার ক্ষেতের পরে করতো কতই চাষ
মায়ের হাতের রান্না খেয়ে কাটতো বারোমাস।
ঘাটুল মেলায় মা হারাল, পায়নি আজো খুঁজে
বাপ যে কোথায় গেল চলে ছেরে পথে মাঝে।
জমিজমা সব গিয়েছে, গিয়েছে ঘর খানি
ন্যাংটো খোকার জোটেনা খাওয়ার পড়নেতে নেই কানি।
পথের পরে ঘোরে ছেলে খুঁজে বেড়ায় মাকে।
কলের জলেই পেট ভরে আর পথেই পরে থাকে।
মন্দিরে বা মসজিদে তার অন্ন জোটেনা ॥
আস্তাকুরে খোঁজে খাওয়ার পেট তো মানেনা।
পথের ধারে শুতে গেলে সবাই তাড়া করে
একলা খোকা পরে থাকে অত্রি নদীর ধারে।
নেইকো অন্ন নেইকো বস্ত্র নেইযে থাকার বাস।
ভাতের গন্ধ প্রাণ ভড়ে নেয় মেটায় মনের আশ।
উথলে ওঠে ভাতের হাড়ি, ঝলকে পরে জল
আমন ধানের গন্ধে ছেলের চোখ করে ছলছল।
কতই অন্ন দেয় যে ফেলে আস্তাকুরের পরে
দেয়নি তো কেউ একটু অন্ন অনাথ শিশুটিরে।