বরুন ও বদ্দিখুড়ো


বদ্দি-খুড়ো বললে রেগে সহ্য যে আর হয় না।
বরুণ পবন কোথায় গেল, গরম কেন যায়না।।
বললে বরুণ, এখন কেন মোদের দোষী কর।
নিজের দোষেই মরছ সবাই, নগরায়ন করো।।
ক্ষেত-খামারে ধ্বংস করে, নষ্ট করলে বন।
বনের যত পশু-পাখি ঘরছাড়া এখন।।
বন-জঙ্গল কেটে দিয়ে গড়লে শহর সেথা।
নদীর জলকে বাধবে বলে বাঁধলে যথা তথা।।
ঘর ঠাণ্ডার মেশিন লাগাও, গাড়ীতে চেপে ঘোর।
ইন্দ্র দেবের রোষের ফলে এখন জ্বলে মর।।
পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ আর পরমাণু বোমা।
সূর্য্যি মামা গেছেন রেগে, করবে সবে ঝামা।।
ময়দানবের বংশধরে ছেয়ে গেছে দেশ।
নগরায়নের নামে প্রকৃতি আজ শেষ।।
পবন যখন জেগে ওঠেন হটাৎ সাগর পরে।
তটের দিকে আসেন ধেয়ে আমায় সঙ্গে করে।।
নদীর জলে ঢেউ তুলে যেই এলো এবার জোয়ার।
কেঁদে বল সব যে গেল, ভাঙল এ ঘর দুয়ার।।
ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দাও, ধেয়ে আসি যবে।
গরমেরে দোষ কেন দাও, এমনটাই তো হবে।।
এখনো তো সময় আছে বলছি শোন খুড়ো।
সবাই মিলে গাছ লাগাতে চতুর্দিকে ঘোর।।
বন্ধ করো বোমা যুদ্ধ, বাঁচাও প্রকৃতিরে।
দেখতে পাবে আমরা আবার সবাই আসব ফিরে।।
                                      
                                               শঙ্কর রুদ্র