হত্যা করে নিজেকে নিজেই
হা হা করে হেসে ওঠে কিশোরী প্রেমিকা; পাঁচালী নাটকে দেখা সংলাপে বিভোর
সিনেমা নায়িকার প্রলাপে ভুলেছে মেয়ে। ছলে বলে কৌশলে
আদায় করবে প্রেম নতজানু হবে নাক – এই ভেবে ঝাঁপ দিল পাতাল রেলেতে ছেলে।
                                                                  থেমে  গেল মেট্রো রেল।
মুখ মাথা ভেঙে গেছে তাই চেনা দায়।
যুগলে মরেছে --  মরে বেঁচেছে কিনা কেউ দেখে উঁকি দিয়ে। ঝোঁকা বারন,  
ফলে ঢের বেশী বিরক্তি শোনা গেল ওদের শবের পাশে- ‘‘অফিস টাইমে হল মরার সময়!!’’
মিনিট তিরিশ মাত্র। ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মেট্রো রেল নিয়মিত হয়।


রক্ত যত ধুয়ে গেলে ফোয়ারার তোড়ে সকালের বেলা গড়িয়ে গড়িয়ে দুপুর বিকেলে
হাহাকারও মুছে যায় । আকাশ, নক্ষত্র, পাখি, সোশ্যাল সাইট কারো কিছু যায় আসে নাকো;
মরে যায় অনায়াসে --তাই বয়সের দোষ বলে মনের ডাক্তারে।
দোষ শুধু অন্য কারো নয়: তাই কেউ দায়ী নয়,
‘কেউ দায়ী নয়’ লিখে রেখে যুগলে মরছে  রোজ --
আত্মহত্যা মহাপাপ জেনে শাস্ত্র মতে শোক করে পরিজন।
ওরা ঝাঁপ দেয়,
তাই আজকাল মেট্রো রেল থেমে থমকে যায়। ফলে ঢের বেশী বিরক্তিতে
ওদের শবের দিকে না তাকিয়ে ঘড়ি দেখে নিত্যযাত্রী বলে,“কেন মরে অফিস টাইমে!!”
তিরিশ মিনিট মাত্র। ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মেট্রো রেল নিয়মিত হয়।