মনেতে যখন যাহা কয়- তখন লিখিতে তাহা না পাই
পরে বসিলে লিখিতে- হৃদয়ে রহেনাকো ভাষা, খুঁজিয়া তারে না পাই-
তাই লিখি তখন মনে যাহা কয়-
পূর্বের ভাষা খুঁজি মনে মনে হায়!


মনে গেঁথে যায় যে কথা-
প্রকাশ পাইনা সে ভাষা
হায়! হায়! নেই নেই-
নেই মনে ভাষা সেথা।


এতোযে চাই মনে- হৃদয় আগলিয়ে রেখে
লিখে চলি পড়ি বলি- মিল রেখে পাঠ করি
ছন্দেরা পায়নাকো কথা ভারী- লিখে চলি লিখে চলি।
বসি পরে- করি যোগ-বিয়োগের ছলে-
মিলিয়ে ভাষা করি পরিপাট- ছন্দরা যদি দেয় ধরা।


মনেতে যখন যাহা কয়- সাথে সাথে তাহা লিখিতে না পাই
থাকেনা মনে হায়! করি কিযে উপায়- বুঝিতে না পাই
হৃদয় দিয়ে যাহা হয় লেখা- লিখি মনের কথা
এথা ওথা সেথা- তাহাই হয় নাকি কবিতা।


ছন্দে ছন্দে লিখিতে পারিনা- ভাষা বুঝি আর নেই জানা
লিখিবার সময় পাইনা খুঁজে ভাষা- পড়ি বার বার লেখা।
একটি সময় একটু আধটু যাহা- হৃদয় দেয় খুঁজে ভাষা-
লিখতে গেলে তাহা মগজে জমেনা- লেখা হয়না কবিতাটা।


চেয়েছিলাম হতে কবি- লিখি আমি সবই
গদ্যের ধারাপাতে লিখি বলি পড়ে চলি
ছন্দরা দেয়না ধরা ছন্দের মিল তাই হয়না
পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে- হয়না লেখা হয়না পড়া।


(সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭)


বিঃদ্রঃ আমার মনে হয় সকল কবিরই এমনই হয় (আবার নাও হতে পারে)। তবুও লেখনির তাগিদে লিখে চলে/চলি। লেখনিটি শ্রুতিমধুর হয়নি তবুও আপনাদের পাঠের জন্য প্রকাশ মাত্র। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।