যমুনার মত কত পদ্মের গর্ভ তুমি
সেখান থেকে ঝরাপাতার বিষন্নতার ছবি কত নীলোৎপল উপহার দিয়েছে আমাকে
অগণিত পদচিহ্ন রেখে গেছে সেই ফুলেরা,
কবিতা কে করেছে মধুর।
ওখানে কারো আঁচল ছুঁতে চাওয়া
কারো কাজলে মিশে যাওয়া
অক্ষরে অশরীরী সন্ধান
শব্দে শব্দে পরিচিত সুগন্ধ
কবিতা কে করেছে সুন্দর।


কৈবল্য খুঁজতে খুঁজতে আমার নিথর দেহটা
তোমার কোলে নুইয়ে পড়ল মধ্যাহ্নে
আমার জন্য লেখা হয়নি কিছুই
তোমার জন্য যা লিখেছি
বিশ্ববাসী দু মুঠো উজোড় করে এখনও ঘরে নিয়ে যায়
এই সাঁঝের বেলায়
যখন সূর্যকে গোগ্রাসে গিলে নেয় মেঘ,
সেই সায়াহ্নে,
আমি এখনও কবি।


আজ পৃথিবী আবার নবযৌবনা
ষোড়শী বসুধার স্তনধারাকে, আমি চাইছি আমার খাতায়, আমার মানসে,
কৈবল্য হীন স্থূলতা শুধু আমার জন্য,
আজ আদরে মাখামাখি করি।


আমার পৃথিবী বিলিয়ে দিয়েছি,
ভাবছ, তোমার দেওয়া গোলাপ টা কি করলাম?
শত ছিন্ন করে ছড়িয়ে দিলাম
অসহায় নিঃস্বতায় ত্রিভুবনে আবার যখন নতুন গান শুনি
তখুনি তা শোনাই
যা দেখি তখনি তা দেখাই
এবারও সহবাসের পর সন্তান ভাসিয়ে দিলাম গঙ্গাসাগরে।


আমি তো চলে এলাম
কতক্ষণ থাকব
তুমি তো রইলে রাখী, আরো কিছুক্ষণ আরো কটা বসন্তের প্রতীক্ষায়
পকেটবই টা রইল
বল, পারবে না কিছু লিখতে
শুধু আমার জন্য
আমাকে আবার ভালোবেসে,
শুধু আমার জন্য শেষ কটা পাতায়।


সুচয়ন।