কত ভুলে যাওয়া শতাব্দীর পথ ধরে
তুমি ধীরে ধীরে এখনো চলেছ,
সর্বাঙ্গ ঝলসে গেছে
কিন্তু চোখ দুটো নাভির মত
বিস্মরণের গূঢ়তায়  চিনতে ভুল করিনি
তখনও একটু কেঁদে ওঠো নি,বৌঠান।
তা দিয়ে
হয়ত আগুন থেকে আগলানো যেত একটু,
বুঝতে পারি নি তার প্রতাপ
এত স্নেহ মাখা অঙ্গের সম্মুখে তার মাতৃত্ব জাগে নি


আমি হঠাৎ চলে এসেছি অজানার সন্ধান থামিয়ে
তোমার 'নতনেত্রকিরণসম্পাত'
ছায়াময় প্রভাতে, ইশারায় জানালে আমি এসেছি বলে এখনো ক্ষীন জীবনস্রোত তোমার নাড়িতে,
তার ই সলজ্জ আড়ষ্টতা
যেন অচেনা কে দেখলে প্রথম
আলতা মাখা পায়ে।


বিস্মিত পায়ে তারপর একদিন এসেছ
শ্রাবণের প্লাবনে
সদ‍্যস্নাত গন্ধ মাধবীবনে,
তোমার 'নন্দনকাননে',
মায়াময় চন্দ্রালোকে
আমার বুক ভেঙে আমার সাথে মিশে গেলে চিরকালের মত
আমার দুঃখ শোকে  নিখিলের আনন্দলোক
যতবার মৃত্যু কে দেখি
শিয়রে এনেছে অমোঘ আঘাত,
আরো নিবিড় আনন্দে মনে হয়,
মৃত্যু তো হয়েছে আমার তোমার মাধবী বনের সাথে,
তোমার নন্দনকাননের চিতায়।


তুমিই পেয়েছ মনিহার, এত গানে তাই এত প্রাণ, এত ছন্দ, এত প্রেম, এত সকরুণ রাগিনী।
জন্মক্ষন থেকে যা ছিল না আমার
বাহুবলে যা পাই নি
আপনার বিনিময়ে তাকেই পেয়েছ তুমি
মরণের সেই অমোঘ আঘাত নিয়ে
আমাকে দিয়ে গেলে নিরাময়
তবুও যে কৈশোর পুড়ে গেল তোমার মাধবী বনের সাথে,
তাকে একটু কান্না দিতে পারি নি।


সুচয়ন।