চেয়ার পেতে দাদু বসে আছে ,খর্বদেহ নিয়ে অসহায় আঙ্গিনায়,
অস্পষ্ট কষ্ট বুকে চেপে আছে দাদু, বোঝায় করা, প্রাণের মোহনায় ।
চশমার এক ডাণ্ডা  ভাঙা দাদুর ঝুলে আছে নাকের ডগায় ,
তীব্র চিৎকারে ও কান দেয় না কেউ, প্রাণ যেন যায় যায় ।


ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে দাদু কাঁদে কষ্টের যাতনায় ,
বড় ছেলে গা ভাসিয়ে বউ কে নিয়ে ছুটে চলে সিনেমায় ।
কুয়াশাভরা চোখে জল দাদুর স্রোতের টানে ভেসে যায় ,
মেজো ছেলে বউ কে নিয়ে,হাওয়ায় উড়ে নাইট ক্লাবের বাগিচায় ।


সেজো ছেলে বউ কে নিয়ে ডিনার করে রাতে অভিজাত রেস্তরায়,
দাদুর ঔষধ, পথ্যের কথা বললে ,মুখে যেন পড়ে ছাই !!
এক মেয়ে ছিলো দাদুর হাতের লাঠি, তা ও কন্যা দান করে দিল বটে,
এখন সে পরের ঘরে আলো জ্বালায় ,জীবন চলার পটে ।


দাদু যেন আজ সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু, মুষ্টিবদ্ধ তাঁর হাত ,
তিরস্কারে আর অবহেলায় জীর্ণ দাদুর কাটছে দিনাতিপাত ।
চার সন্তান এর জনক দাদু,নামদার বড় পরিচিতি যার,
বয়সের ভারে নুয়ে গেছে দাদু, জীবন রথের সংসার ।


রচনা
৩০।০৭।২০১৩