আমার  আজকের এই কবিতাটি  আমাদের আসরের খুব জনপ্রিয় কবি সম্মানীত অজিতেশ নাগ দাদা'র গত-১৩।১১।২০১৩ প্রকাশিত "মেয়ের বাপ" কবিতার সুত্র ধরে পূর্ব অংশ  লিখার কিছু টা চেষ্টা করেছি মাত্র।
__________________________________________
বিয়ে টা পাকাপাকি করেই ফেললাম
মা হারা মেয়ে আমার ঘর কে আধাঁর করে অন্যের ঘরে চলে যাবে,
রঙিন বেশে রঙিন ফুলে রঙিন  প্রজাপতি হয়ে থাকবে বলে
জামাই কে একটা লাল গাড়ি,একটা বাড়ি করে দিবো বলেছি ,
এই জগৎখানি বড়ই বিচিত্র,সেই ছোট্ট  বেলা থেকে,
তাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করলাম,চেষ্টা করলাম,
মায়ের অভাব ভুলিয়ে রাখতে।
কিন্তু আজ আমায় কে সান্তনা দিবে তাকে বিদায় দেওয়ার?
জামাই টা ও প্রবাসী,একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি করে
বিয়ের কয়েক দিন পর জামাই বিদেশ চলে যাবে বলেছে
অবশ্য কিছু দিন পর মেয়ে কে ও উড়িয়ে নিয়ে যাবে বলেছে।
তখন আমি বড্ড একা বনে যাবো।
রঙিন রঙের তুলিতে কালো মেঘের খিলান যেন আঁকা হয়ে যাবে,
ব্যথার সাঁতার চোরাবালির চরে কি করে অশ্রুধারা ঝড়াবো?
মেয়ে যখন ছোট্ট ছিলো তখন পুতুলের বিয়ে দিয়ে,অঝর ধারায় কাঁদতো,
তখন আমি হাসতাম,অনুভব করিনি,কখনো ভাবিনি,
আমার ঘরের আলো করা প্রদীপ,
অন্যের ঘরে এমনি করে পুতুল হয়ে চলে যাবে।
আজ মেয়ের বিয়ে ...............


রচনা
১৫।১১।২০১৩
----------------------------------------------
মেয়ের বাপ
- অজিতেশ নাগ


ওরে কে আছিস কলাপাতাগুলো দিয়ে যা
ভালো করে জল দিয়ে ধুস
একটু বসুন এখুনি খাবার এসে যাবে।


নুন-লেবু গুলো...
আহা ওভাবে নয়...
বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে দে।
একটু বসুন এখুনি খাবার এসে যাবে।


মাটির ভাঁড়?
দেয়া হয়ে গেছে?
জলটা দিয়ে দে,
আহা! তাড়াহুড়ো করিস না।
জল গড়িয়ে যাবে
টেবিলটা এদিকে একটু ঢালু
একটু বসুন এখুনি খাবার এসে যাবে।


ওরে দেখতো বেগুনিগুলো আসছে কিনা,
আরে বিমলদা! বসে গেছেন?
বৌদি কেমন আছে? শরীরটা ঠিক নেই শুনেছিলাম —
মারা গেছে!! ইসসসসসসসসস!
আমি ওদিকটা একটু দেখি কেমন?
একটু বসুন এখুনি খাবার এসে যাবে।


মেয়েটা চলে যাবে।
কি বললেন?
সে তো ঠিক...মেয়ের বাপ বলে কথা...
হেঁ হেঁ...
এই যতটুকু পারলাম...সে তো বটেই
হেঁ হেঁ...ওই হাতে কানে গলায়....
মা মরা মেয়েটা।
জামাই? করছে একটা প্রাইভেট... হেঁ হেঁ...
নানা উপরি-টুপরি শুনেছিতো...
হেঁ হেঁ...
গাড়িটা না দিলেই নয়... হেঁ হেঁ...
চাইল মুখ ফুটে... হেঁ হেঁ...
একটু বসুন এখুনি খাবার এসে যাবে।