জিহব আড়ষ্ট মুখে কিছুই বলতে পারছে না,খালি ঔষদের খোসা গুলো নেড়ে বারংবার রুপা কে দেখানোর চেষ্টা করছে.........


এ যেন এক অভিশপ্ত প্রেতের পিপাসা,হৃদয়ের দুর্বল আকাঙ্খা গুলো দারিদ্রের ঘেরাকলে বন্দি।সুশৃঙ্খল জীবনে যেন নিষ্ফলতার চিত্রফটে আঁকা বুভুক্ষিত অন্তর।
ভাই বোনদের অবুঝ মুখের দিকে আর তাকাতে পারছে না।মনে মনে স্থির করলো
একটা কাজ কি পাওয়া যায়।
রূপা অসীম রূপের রূপসী,রঙিন মেঘের মতো গড়ন।থৈ থৈ করছে রূপের জোয়ার
পুরো অঙ্গে ।বের হলো কাজের আশায়,গ্রামের মোড়লের  বাড়িতে গিয়ে উঠলো।
"বাবু আমায় একটা কাজ দিবেন?ঘরে বুড়ো বাবা-মা অসুস্থ,ভাই-বোনদের দিকে তাকাতে পারছিনা।কাল থেকে তারা না খেয়ে আছে , যে কোন কাজ" .........
রূপা লক্ষ্য করলো মোড়লের কু-নজর তার শরীরে এসে বিঁধেছে।যেন তাকে গিলে খাবে লোক লজ্জার ভয় ছিড়ে ।রূপা নিজেকে সংযত করে নিলো,তবু ও মোড়লের
চাউনি বাঁকা রাস্তায়।"যে কোন কাজ"? এমন প্রশ্নে রূপা প্রস্তুত ছিলো না উত্তরে কি দিবে।দেখল,মোড়ল তার গা ঘেঁসে এসে তার হাত ধরতে উদ্যত ।আচমকিত রূপা
ছিটকে সরে গিয়ে ধমকের স্বরে ,একি করছেন বাবু ?
"কেন,যে কোন কাজ!! অনেক টাকা দিবো তোমায়। অনেক টাকা আসো আমার রূপের রানী কাছে আসো"......
হণ হণ করে বেড়িয়ে এলো রেগে তেলে আগুনে। রূপা অচেনা ব্যাথায় দারিদ্রের রোষানলে দগ্ধ।কুদৃষ্টির আক্রমণ এতো টা তীক্ষ হয় তা আজ রুপা হাড়ে হাড়ে টের
পেলো।টসটসে রসে ভরপুর যৌবন যেন আজ তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।


রচনা
২৪।১২।২০১৩
প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি ,তবে এইটা কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায় তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।