টসটসে রসে ভরপুর যৌবন যেন আজ তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কালো জটাধারী বুনো মেঘ যেমন ফোঁস ফোঁসঙ্করে ফোলে,গুরুগুরু
ডাক ছেড়ে কত ঝড় তোলে,তেমনি রুপার গায়ে ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে
ঝিলিকের ঝিকিমিকি বজ্ররের কান্নার স্রোতে।আলো চাই রুপা আলো,
পরিবারে সুখের আলো ছড়াতে চাই মনের আকাশের যত নীল আবরণ
আছে তা ভেদ করে।
ঘরে অসুস্থ মায়ের ঔষধ, সবার অন্ন যোগানের তাড়না,সম্প্রতি বাবার
মদ্যপান তাকে আরো আপ্লুত করেছে মনের সুনীল সিন্ধুতীরে।চিন্তার
ঠাঁই পাচ্ছে না ভাবনার অসীম সাগরে।এই ক্ষণ টা তার পরিপূর্ণময় এবং
কল্লোলময় হ্ওয়ার কথা ছিলো অন্য দশ টি মেয়ের মতই।কিন্তু...
মেঝো বোনটার অশ্লীল চলাফেরা ও তাকে বড্ড নাজেহাল করে যাচ্ছে।
এলাকার বখাটে ছেলের পাল্লায় পড়ে রঙিন দুনিয়া দেখছে নাইট ক্লাবে,
নয়নজলে ভাসে আঁখি যুগল,মনের আকাশমাঝে উড়ে অস্থির গ্রহমণ্ডল।
তবু ও আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই পরিবার পরিজনদের।
কাজ নিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ভোটার অফিসে।অক্লান্ত পরিশ্রম।কিন্তু
সেখানে ও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে নিজেকে তো বিকিয়ে
দিতে পারে না,চেয়ারম্যানের অবাধ্য মনের অসংযত কুপ্রস্তাবে।
দিবসরজনী কাটে টুটে যাওয়া খন্ড পাথরের মত।নির্দয় চঞ্চল মন বড্ড
অসহায়।যেখানে যায় সে কাজের সন্ধানে,প্রস্তাব পাই বাহুডোরে বন্দনে,
এ কেমন সমাজ?এ কেমন মানবের মানবতা?প্রশ্ন গুলো নিজের মনের
মাঝেই থেকে গেলো।বক্ষোবীণায় বেদনার সুর বাজে পরিবারের অভুক্ত
মানুষগুলোর মুখপানে তাকালে।সেঝো বোনটার গায়ের বসন,শততালি
তে বুনা।সেনসেটিভ স্থান গুলো ঢেকে রাখা দায় হয়ে পড়েছে।উঠতি
শরীরে উর্বর ভূমি লুকিয়ে রাখতে আবরণের অভাব দেখে রুপা কষ্টে
অন্তরমাঝে ক্ষতবিক্ষত।


রচনা
২৫।১২।২০১৩


প্রিয় সাহিত্য প্রেমী,কবিতা প্রেমী পাঠক/ পাঠিকা এবং সম্মানীত  কবি গণ আমি এই "কন্যাকুমারী" গদ্য কবিতা টি কয়েক টা সিরিজে সাজাতে যাচ্ছি ,তবে এইটা কোন কল্পনার কবিতা নয়,একেবারে বাস্তবতায় ভরা। আমি শুধু আমার ভাষায় তুলে আনার চেষ্টা করছি মাত্র । কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো।