অনেক বড় কলকাতা সিটি কলেজ ,ধনীর ছেলে মেয়েরা ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এডমিশান নিয়ে থাকে ।
(রঙ্গিন চশমা পরা,কোয়ার্টার সাইজের ড্রেস,চলন,গড়নে থাকবে বিশ্রী উচ্ছল মনা শরীরের বাহাদুরির থেকে ছোট পোশাকের ব্যবহার তাকে বেশ আনন্দ দিবে ।সাথে তার বাপের কেনা কয়েক টা কেয়ারটেকার তো থাকবেই,ভীষণ অহং বোধ তার সঙ্গের সাথী।বেশ জৌলুষি জীবন যাপন।
কথায় কথায় চড়,থাপ্পড় তার হাত বেশি ছুটে ।নাইট ক্লাব তো তার খেলার মাঠ বলা চলে,কথায় কথায় রেগে যায়)


সুচিত্রা- মামা তোমাকে না বলেছি বাপ্পিকে বলে দিতে আমার সাথের এই চামচা গুলোকে আমার থেকে শ"গজ দূরে থাকতে।দেখছ না তারা কেমন আমার সাথে  কিলবিল কিলবিল করে থাকছে ।


স্বপন-আহা মা মনি তুমি এই সব বলছো ? তারা তোমার সঙ্গে আছে বলেই তো কলেজের বাজে ছেলে গুলো তোমার দিকে বাঁকা ভাবে তাকাতে পারে না ভয়ে ,আর তা ছাড়া তুমি কার মেয়ে  দেখতে  হবে না ? তুমি আমার জিজাজী অজিত ঘোষালএর অতি আদরের বড় মেয়ে, তোমার  পিছনে এদের কে নিয়োগ দেওয়া মানে লোকে জানতে হবে না তোমার বাপ্পি এই কলকাতা শহরের কতো বড় ধনী,কত বড় লোক।আর তা
ছাড়া চম্পা মামনি তো এখনো অনেক ছোট।সে ও বড় হলে তার জন্য ও রাখা হবে।


(সুচিত্রা রেগে গিয়ে গাড়ির লাইট ভাঙ্গা শুরু করবে)
সুচিত্রাঃ নিকুছি করি তোমার বড় লোকের ,এক্ষনিই এদের আমার সামনে থেকে দূর হতে বল না হলে .........আমি একাই একশ ।


স্বপন-আচ্ছা আচ্ছা মা মামনি তাই হবে , তাই হবে,এই এই তোরা সব সড়ে যা,মা-মনি আমার ক্লাসে যাবে (আড়ালে স্বপন মামা চোখ টিপ দিয়ে কাছে  থাকার আদেশ দিবে)
সুচিত্রা-মামা আমি দেখেছি।বলেই রাগত স্বরে গাড়ির হেডলাইট দু"টো ভেঙ্গে ফেলবে এবং সামনের মিরর ভাঙ্গতে উদ্যত হলে স্বপন মামা ধরে ফেলবে আর বলবে -
স্বপন- এই....এই..আচ্ছা আচ্ছা মা মনি তারা আর কেউ তোমার সাথে যাবে  না,এই তোরা কেউ আর আমার মা-মনির সাথে যাস নে,বলে দিয়েছি ,খুশি? যাও মা মনি ক্লাসে যাও ,মনযোগ দিয়ে পড়ালেখা করো ।


(সুচিত্রা হনহন করে ক্লাসে চলে যাবে,ক্লাসে স্যারের লেকচারে ধ্যান দিবে এমন সময় স্যারের তীব্র স্বর)


স্যার-কে তোমরা ? তোমাদের কে তো আগে কখনো দেখি নি!!সবার চাউনি সেই লোক গুলোর পানে ।
স্বপন-ইয়ে মানে স্যার সুচিত্রা আমার ভাগ্নে বাকিরা সব তার কেয়ার টেকার।
স্যার-তোমরা এই খানে কি করছো এইটা ক্লাস বের হও, বের হও ।
স্বপন-ইয়ে মানে স্যার--
স্যার -আবার কথা বলছো? বের হও বলছি বের হও।
স্বপন-এই স্যার আপনি মনে হছে আমাদের চিনতে পারেন নি আমরা অজিত ঘোষাল এর লোক,যাঁর টাকায় এই কলেজ চলে ।কথাগুলো বেশ ঝগড়ার দিকে যাচ্ছে দেখে সুচিত্রা চোখ ইঙ্গিত দিয়ে  বের হয়ে যেতে  বললো।
(বাধ্য হয়ে তারা বের হতো হলো)


রচনা
১৫।০৩।২০১৪