বাজার করতে গিয়ে আমার, পড়লো মাথায় হাত।
তিনশো টাকা কামাই আমার ,খাটুনি দিন রাত।
আলুর কিলো পঁচিশ টাকা, নেহাত মন্দ নয়।
তোর থেকেও দামি আমি, পটল ডেকে কয়।
পঁচিশ টাকার বাহাদুরি তোর ,আমি চল্লিশ টাকা।
বেগুন বলে কেনো তোরা ,ওয়াজ করিস ফাঁকা।
আমি এখন বিকোয় ভালো, একশো ত্রিশ টাকায় ।
রসুন বলে অহংকার তোর ,আমায় শুধু ভাবায়।
বাপের ব্যাটা আমি দেখ ,দেড়শো টাকা কিলো।
সব সময় আমি একাই, বাজার করি আলো।
লঙ্কা বলে ঢের হয়েছে ,থামবি তোরা কিসে?
আমার দামটা তোরা কিন্তু, হিসেব করিস শেষে।
তিনশ টাকায় দর হেকেছি, সবার জন্য নয়।
আমার কাছে গরীব লোকে, আসতে পায় ভয়।
সব শুনে বললো আদা ,ঢের হয়েছে ঢের।
আমায় দাদা বলে ডাকিস ,চারশ টাকা সের।
দুই টাকার চুনোপুটি ,বেড়াস গর্ব করে।
বুঝে গেছি তোরা সবাই ,মাথায় গেছিস চরে।
শশা,কুমড়ো,উচ্ছে,কলা এরাও কম নয়।
তাদের দাম অনেক হলেও, চুপটি করে রয়।
এসব শুনে ঘোরে মাথা,গলা শুকিয়ে কাঠ।
এই টাকাতে কি করে ,করবো বাজার ঘাট?
সব জিনিসের দাম আগুন ,শ্রমিক শুধু কম।
পেটের ভাত পায় না তারা, ঝরিয়ে গায়ের ঘাম।
কৃষি নির্ভর ভারতবর্ষ,কৃষকের মাথায় ঋণ।
একটা শ্রেণী বসে বসে ,বাজিয়ে মরণ বিন।
কৃষকেরে কায়দা করে,আখের গোছায় তারা।
পায়না ভাত সেই মানুষে ,ফসল ফলায় যারা।
আমরা যারা মধ্য বিত্ত ,তাদের যত জ্বালা।
পেটে খিদে থাকলেও তা ,যায়না মুখে বলা।
পেটে খিদে মুখে লাজ, বলবো আর কি?
আজ খাচ্ছো ধার করে, কালকে খাবে কী?