ভালোবেসে আমি আপন করেছি তুমি করেছ পর
শূন্য করেছ হৃদয় আমার বেধেঁছ নতুন ঘর।
ছিলে তুমি মোর বটছায়া হয়ে দিতে শীতল ছায়া,
রশিতে নাহি বেধেঁছিলে মোরে বেধেঁছিলে দিয়ে মায়া।
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে দিয়েছিলে তুমি শীতল বারিধারা,
করেছিলে তুমি আলতো বাতাস হৃদয় পাগল করা।।
আমিতো ছিলাম ঝরের মুখের ছোট্ট একটু খড়,
বাসা নেই তাই তোমার ডালে বেধেঁছিলাম আমি ঘর।
আটোসাটো করে ঘর বেধেঁছি ছাউনি দিয়েছি ঘরে,
এক নিমেষেই ঘর ভেঙ্গে যায় ভিত নেই মোর ঘরে।।
পরের ভিটায় ঘর বাধিঁয়া ভেঙ্গেছে যবে ভুল,
নেই তখন আর কোন উপায় তাই ছিঁড়ছি মাথার চুল।
না হয় আমায় রাখতে ধরে বটের  শিকড় করে
তোমার ভিতটা শক্ত হতো আমার পিঠের পরে।
তবুও না হয় বুঝ মানতো অবুঝ মনের আশা,
স্বপ্ন ভাঙ্গে চোখের ওপর সবই হলো ভাসাভাসা।
তোমার চলার পথে আমি বাধাঁ ছিলাম নাকি,
একটি বার ভেবে দেখো বন্ধ করে আঁখি।।
যেমন মায়ের কোলে শিশু ঘুমায় করে লুকোচুরি,
তেমনি আমার আশা ছিলো হব বটের ঝুরি।
মিটলো না স্বাদ অন্ধকারে হারিয়ে গেলো আশা,
বটগাছে আজ ঠাঁই পেয়েছে অন্যকারো বাসা।
আপন মানুষ পর হলাম আজ নিয়তির পরিহাসে,
ঠাঁই হলো না তোমার মনে ঠাঁই হলো বনবাসে।
বনবাসে থেকে বনমাঝে ঘুড়ে সাজিয়ে বাসর নীড়ে,
বসে আছি আমি তুমি যদি আসো বনেরও পথ ধরে।।।।