আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো


সুধীর দাস


আয়নার সামনে‌ দেখো যে ছবি ভাসে চোখে
সে ছবি রয়েছে আমার হৃদয়ে‌ মনোলোকে
কত সুন্দর অপ্সরী তুমি আমার ভুবন জুড়ে
নক্ষত্রে সাজানো আমাকে কাঁদায় খুড়ে খুড়ে।


ওই ঠোট ওই চুল ওই সফেদ সাদা সিঁথি কপোল
আমার বুকের সাজানো বাগানে দিয়ে যায় দোল
দিবানিশি ভাবনায় আনচান করে যায় ‌শুধু মোন
ওই চোখ ওই হাসি দেখিনা পৃথিবীর‌ কোথা কোন।


বুকের জমিন ছুঁয়ে নেমেছে যে পাহাড়ের ঢাল
হৃদয়ের গভীরতা‌ ধেয়ে চলে যাই ভয়ার্ত‌ ভয়াল
নক্ষত্র জ্যোতিষ্ক ছুঁয়ে অসহ্য যন্ত্রণার করালগ্রাস
বিহ্বল চেতনায় ধুকপুক বুক আলোড়নে ত্রাস।


কত যুগ খুঁজেছি তোমায় কত রূপ শতাব্দী ধরে
আদি অনাদিকাল অনন্ত মহাকাল নিয়ে অন্তরে
রবি শশী তারোকার জ্বালিয়েছি জ্যোতি আলো
অনাগত স্বপ্ন বাহুডোরে বেঁধে বেসেছি ভালো।


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখো প্রেয়সি যে তুমি
আমার মরুভূমি সাহারায় নিষ্পাপ পবিত্র ভূমি
জনম জনম ভরে চিরন্তন আমি তার করি চাষ
যে তুমি দাঁড়িয়ে আয়নার সামনে আমি তার দাস।


২৩,০১,২১