একশো আটটি নীল পদ্ম কবিতা এবং ক্ষুধা

সুধীর দাস

নন্দনকানন ছুঁয়ে গেছে বুকের ভেতর
মোনালিসা ম্যাডোনা কাঁদে রেললাইনের বস্তিতে বসে
পরিযায়ী শ্রমিকের ক্ষুধা হাজার মাইল দূরে
আপন বসত ভিটার আস্ফালন!

মাতৃভূমির জঠর ক্লান্ত ক্ষুধার আর্তনাদে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে যায়।

ছঁই ছঁই ভালোবাসার নুপুর
মিডিয়াতে প্রতিদিন ঝংকার তোলে
বুদ্ধিজীবীরা নাচের পুতুল,রাজনৈতিক দালাল।

মৃত্যুর মুখোমুখি আমার মাতৃভূমির প্রেম
রক্তাক্ত ভালোবাসা,জীবনের অবয়ব।

পচে যাওয়া গলে যাওয়া মস্তিষ্কে ভুভুক্ষ এক কবি
ক্ষুধার আহার খোঁজে কবিতার গর্ভমূলে
অস্ফুট একশো আটটি নীল পদ্ম খোঁজে
প্রার্থনার বৃন্দাবনে।

তেত্রিশ কোটি দেবতা স্বর্গের দেবদ্বারে বসে
মুখে মুখোশ, হাতে গ্লাভস পরে কানাঘুষা করে
পৃথিবী আমাদের হাতে সৃষ্টি
এবার ধ্বংস হোক
আবার আমরা গড়ে নেব নতুন করে।

রবীন্দ্রনাথ মুচকি হাসি হাসে
বিবেকানন্দ হাততালি দেয়
বিদ্যাসাগর  দামোদর নদীতে আজও সাঁতরে বেড়ায়।

আমার মাতৃভূমি মা মাটি স্বদেশ
নির্বাক তাকিয়ে থাকে ক্ষুধার্ত চোখে।

কবিতার পাপড়ি মেলে আবার ঝরে যায়
চাঁদের স্ট্যাচু ভেংগে পড়ে
ঝড় আসে প্রলয় ঝড়
কবিতার প্রেমিক কবি তবু
কবিতার খোঁজে
একশো আটটি নীল পদ্ম খুঁজে বেড়ায়
ভালোবাসার তেপান্তরে।

কোলকাতা
28,05,20