চিঠি-৪


সুধীর দাস


মানসী, চিরদিন আমার ভোরের আকাশ মেঘলা। দুপুরের ক্লান্ত রোদ। বিকেলে সাঁঝের মায়া।


রাতের আকাশেও শুকতারা হীন নির্ঘুম। জীবনের অন্ধকার বাতায়ন পাশে ফুটে  থাকে হাসনাহেনা ফুল। যার গন্ধে মন ভোলে হৃদয় ।আকুল করে। বেদনার স্বরলিপিতে গান গেয়ে যায়-.


এইতো জীবন
পাওয়া আর হারানো
তবুও হাত বাড়ানো
মিছে আশা দুরাশা
জীবনের দাবদাহ।


জীবনে কত বসন্তের ফুল ফোটে। কত পাখি গান গায়। হৃদয়ে হৃদয় ফুল তোলে ।মালা গাঁথে।


আকাশে চাঁদ উঠে। রাত্রির আঁধার নামে। নিসর্গ ছুঁয়ে যায়। ফুল পাহাড় নদীর নিমগ্ন নগরে নক্ষত্র জেগে থাকে।


কিন্তু আমার আকাশে কোন নক্ষত্র ফুল চাঁদ তারা জেগে থাকে না।


দুঃসহ জীবনের সবকিছু হারাতে হারাতে আজ আমি এক পরিত্যক্ত নগরী। রক্ত পাজরে রক্তাক্ত কষ্টের ঘাম ঝরে পড়ে প্রতিনিয়ত। জীবনের ধ্বংসাবশেষ শেষ হতে হতে মনে হয় সামান্য আয়ু টুকু লীন। কোথায়ও আজ আনন্দ নেই। হাসি নেই।


মানসী, নাম না জানা কত ফুল ফোটে বনে
সব ফুল কি মালিনী তুলে আনে
সব ফুল কি হয় মালা গাঁথা
সব ফুল কি লাগে দেবতার পায়?


২০,০১,২১