বুঝলে না হে অন্তর্যামী


সুধীর দাস


না শব্দটা শুনতে শুনতে আজ জীবনের সবকিছু না বোধক হয়ে গেছে মাধবী
ভোরের শিশিরের দূর্বাঘাস সিক্ত
সেটাও ' না'
গোলাপের পাপড়ি  থেকে ঝরে পড়ে টুপটাপ রক্ত
সেটাও 'না'
গঙ্গার জল দিয়ে যদি পূজা হয় সেটা হয় পবিত্র
কিন্তু মহান আস্তিক সেটাও বলবে


'না'


তোমার আমার ভালোবাসা চিরন্তন সত্য
বর্গাচাষী ভালোবাসার বন্ধুরাও সেটা শুনে বলবে
চিরন্তন সত্য আসলে 'না'


এই সব শব্দ গুলো শুনতে শুনতে আজ মনের সব শুষ্ক মরুভূমি নিয় বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে 'না'
তারপরে যখন ভাবি এইসব ক্ষেত্রে যদি হতো' 'না'
তোমার আমার বিচ্ছেদ কোনদিন হবে 'না'


ছোট্ট শিশুর ফলন্ত মায়ের বুকের স্তনে পরিবর্তে যদি
জল চিনি মেশানো গুঁড়োদুধের মিশ্রন হতো 'না'
বৃদ্ধ অসহায় বাবা মায়ের বৃদ্ধা আশ্রমের ঠিকানা যদি হতো 'না'


আমার মাতৃভূমি স্বদেশ আজ দুঃসহ দুর্দিন সন্ত্রাসে আক্রান্ত যদি হতো 'না'


কোন একদিন কেওড়াতলা নিমতলাতে
আমার আশ্রয় হবে
সেদিন তোমার হাতে কাঁচা বাঁশের
সাড়ে তিন হাত খাঁচা হবে
সেটা যদি জীবনে কোনদিন হত 'না'


সব স্বপ্নের অর্থ বোঝো হে অন্তর্যামী
কিন্তু ওই অসহায় মেয়েটি যে আমাকে ভালোবাসে সে যে আমার সাথে সারা জীবন পাশে থেকে
বাঁচতে চায়
এইসব ভালোবাসার অর্থ তুমি কেনো বোঝ 'না'?


@#@#@
কোলকাতা
08,11,19