কিছু কিছু হৃদয় দেবী হয়


সুধীর দাস


(উৎসর্গ: মধুমিতা চক্রবর্তী শ্রদ্ধাবরেষু)


চোখের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখি
রবীন্দ্র সংগীত বুকের পাঁজরে ভর করে
শঙ্খ ঘোষ শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভোরের সোনালী দিগন্তে আঁকে বলাকার ডানা।


অক্টাভিও পাজ নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকে
পাবলো নেরুদার বুক জুড়ে নিসর্গ প্রেম প্রতিবাদের কবিতা ফোটে
সুকান্তর মিছিল আসে
চে গুয়েভারা জেগে থাকে
লেনিনের লাল পতাকা ওড়ে
স্টালিন হৃদয়
ভলতেয়ার রুশো দর্শনের দ্যুতি ছড়ায়
গ্যালিলিও ল্যাভিয়েস আর্কিমিডিস নিউটন বোধের তপোবনে সোনালি আপেল ফলায়।


নক্ষত্র তারাখসা ছায়াপথ উল্কা জ্যোতিষ্ক চিরভাস্বর।
নজরুলের লাঙ্গলের ফলায় কৃষকের রক্তাক্ত ঘাম
মান্না দে হেমন্ত ভূপেন হাজারিকা
রজনীকান্তের প্রার্থনা সংগীত বেজে ওঠে।


কিছু কিছু মানুষ আমার চোখের আঙ্গিনায়
দেবতার মন্দির হয়ে ওঠে
কিছু কিছু মানুষের স্পর্শ আমাকে প্রার্থনায় নতজানু করে তোলে
প্রজ্ঞা ভালোবাসায় শ্রদ্ধায় তাদের প্রতি মাথা নত হয়ে আসে।


কিছু কিছু হৃদয় দেবী হয়
কিছু কিছু ভালোবাসা জেগে থাকে অন্তরে
কিছু কিছু মানুষ থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে
ঈশ্বরের হাতে তাদের হাত মেলানো থাকে
সেই মেলানো হাতের স্পর্শে
তারাও হয়ে ওঠে দেবতাদের স্বর্গ সভা
মানবতা দুঃখ দারিদ্রে তাদের স্পর্শ
গভীর হয় ভালোবাসার বন্ধনে।


সকল দেবতা দেবীর মাঝে
তোমাকে মনে হয় একজন দেবদূত দেবী


তোমার স্পর্শে প্রতিদিন প্রানোদিত হই
মুমূর্ষ শুষ্ক প্রাণহীন প্রান্তরে।
তোমার ছোঁয়ায়
মরা প্রাণ বেঁচে ওঠে।


কলকাতা
23,05,21