পাথরেও ফুল ফোটে


সুধীর দাস


পাথরেও ফুল ফোটে
চোখের নোনা জলের দীঘিতে ফোটে পদ্ম ফুল
শবদেহ রেখে যায় হাতের স্বর্ণের চুরি বালা
নাকের নাকফুল কানের দুল
জীবন বীমা ব্যাংকের পাস বই
ভালোবাসার বলিরেখা সুখস্মৃতি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স।


শোকের স্মৃতিতে রেখে যায় বেঁচে থাকা উদ্যম
শ্মশানের অগ্নি চুল্লিতে পিন্ডদানের নাড়িভুঁড়ি
স্রোতস্বিনী গঙ্গাজলে অর্পনের সম্বল!


কিন্তু তুমি চলে গেছো
এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই আমার যন্ত্রণাময় হাহাকার বুকে।


তুমি চলে গেছো
শোকের স্মৃতি নেই অথচ কত ভয়াবহ
তুমি চলে গেছো
শ্মশানের অগ্নি চুল্লিতে তোমার ভালোবাসার আগ্নেয়গিরি নেই
পিন্ডদানের গঙ্গা জল নেই।


বেঁচে থাকার উদ্যমতা নেই
ভেঙ্গে যাওয়া পাঁজরে দাঁড়ানোর শক্তি নেই
স্মৃতির কারুকাজে আর কোন বেঁচে থাকার স্বপ্ন নেই


তুমি নেই তবুও বেঁচে আছি
যেভাবে বেঁচে থাকা যায়
মেরুদণ্ডহীন কেঁচো আরশোলা প্রজাপতি।


তুমি নেই আমার ধূসর স্বপ্ন গোধূলি রক্তময় হয়না
অন্ধকার নেমে আসে চিরদিন রৌদ্র করোজ্জ্বল দিনেও


তুমি নেই
আমার বেঁচে থাকার আবাসভূমি
অন্ধকারাচ্ছন্ন মৃত্যুময় নীরবতা
ধূসর স্যাতসেতে ক্লান্ত হাড্ডিসার দেহ, রক্তাক্ত পাঁজর, থলথলে চাপ চাপ রক্ত বমি বুক, নিথর নিস্তব্ধ, নিরাকার!


একটি মরে যাওয়া লাশ ঘর।


কলকাতা
সকাল-১০.৩০
১৩,০৩,২২