মনের কোনায় ধুলো জমেছে, সাফ করি কেমনে
তোমার কথা বড্ড মনে পড়ে, তোমার হদিশ কে জানে কোন খানে
সত্যি বলছি শুনব সবই, যা বলবে তাই
খাওয়াব লুচি আলুর দম, যেমনটা তোমার চাই
সেই যে কবে শেষ দেখা হল রবিবারের সকালে
আমায় দেখে মুচকি হেসে গরম এক কাপ চা বানালে
লড়াই যে হত না তা নয়, এ সবই তো নিছকই নিয়ম
তোমায় নিয়েই ঘুরতে চাই দুনিয়া, যতই ঠাণ্ডা হোক বা গরম
মনে পড়া কথা ভাবতে গিয়ে দেখি, সামনের দেওয়ালে তুমি
ফটো-ফ্রেমে বন্দী রয়েছ, তাতে চড়ানো মালা , চমকে গেলাম আমি
স্মৃতিগুলো আসা যাওয়া করে, মনের মণিকোঠায়
বিশেষ কিছু মনে রাখতে পারি না, তবু তোমার ছবি কখনো ভাবায়, আবার কখনো কাঁদায়
সবাই বলল তুমি নাকি নেই, বছর দশেক হল
নাতি এসে বলল, "দাদু মারা গেছে, তোমারও বয়সও তো আশি পার হল।"
চোখে দেখি না, কানেও শুনি না, বলাবাহুল্য ওসব গেছে নিয়ম মেনে
তবু কিসের আশায় বাঁচা, ভগবানই জানে
"বেশিদিন বাঁচা মোটে ভাল না।" - বউমা আমায় বলল
আর ছেলে এসে বৃদ্ধাশ্রমের ফর্ম-এ সই চাইল      
মানুষ এদের কবে করেছি তাও ঠাওর হয় না
তবে এরা আমার আপনজন তা ভাবা যায় না
কাল ভোরবেলা তোমার কাছে যেন চলে যেতে পারি
এ প্রার্থনা শুধু ঈশ্বরের কাছে হাতজোড় করে করি
তুমি বলতে, আমি আগে ওপারে যাওয়াই ভালো
বুঝি এখন, তুমি আগে যাওয়াই আমার কাল হল
আমায় নিয়ে ওরা পাছে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসে
তোমার কাছে টেনে নিও, জায়গা রেখো তোমার পাশে।


(সন ২০২২, ৫ ই অক্টোবর )