স্তাবকেরা উচ্চস্বরে করিছে গুণগান
তুমি আসবে বলে পথ হয়েছে শুনশান
মাঠের মাঝেতে হয়েছে সভার আয়োজন
তোমার ভক্তেরা সব পেয়েছে নিমন্ত্রণ
রাজার মতোই হচ্ছে তোমার আগমণ
পবনের হংসেতে চড়ে তুমি করিলে পদার্পণ
ভিড়েতে ঠাসা মাঠের মাঝেতে ভক্তের নিস্পলক নয়ন
তোমারে দেখিবে বলে সকলে করিছে চিন্তন
সাঙ্গপাঙ্গ পারিষদ সকলে তোমারে করিল সম্ভাষণ
করতালিতে মুখরিত মাঠ যেন দেবতাকে করিল নৈবেদ্য অর্পণ
আট থেকে আশি সকলের ধনুক- ভাঙ্গা পণ
তোমারে সম্মুখ হইতে করিবে দর্শন
পঞ্চাশ মিনিট চলিল তোমার ভাষণ
তারপরেতে পগারপার, শূন্য হল তোমার আসন
সমবেত দর্শক মধ্যে এক বাচালের বুঝি নিকটে মরণ
তাই তোমার উদ্দেশ্যে ছুঁড়িল গুটিকয়েক কটু বচন
তার ঠাঁই হল সরাসরি শ্রীঘরেতে
কি যে ব্যাথা ছিল সে ব্যাটার মনেতে
হঠাৎ মায়ের ডাকেতে নিদ্রাতে ছেদ পড়িল
বুঝিলাম আমি, এতক্ষণ যা কিছু হল, তা কেবলই স্বপ্ন ছিল
নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে ভাবিছ অমর নিজেকে - তুমি হে রাজন
কিন্তু মোদের হস্তেই লিখিব একদা তোমার মরণ
সেদিন যখন তোমারে বসাইলাম মসনদে
হেসে উঠেছিলাম সকলে খুশির পারদে
সকল আশা জলাঞ্জলি দিয়েছ মোদের তুমি আজ
একালের ইতিহাসের কালি মুছবই মোরা যুবসমাজ।