পার্থক্য চেনাতে তুমি নিজের কাছেই নত হয়েছো, কিন্তু আশেপাশে চেয়ে দেখো, কেউ নেই,
আসলে থাকবার কথাও নয়,
হয়তো বুকফাটা বোবা কান্না গুলো লেখা হবে নিখোঁজ কোনো অসুখে!
ভাগ করে আমার অসুখ গুলো গাছেরা লিখে গেছে তাদের জীবনী,
হয়তো জানতে পারি নি কিংবা স্পর্শ করে দেখতে পারি নি...
নিজের সাথেই প্রতিনিয়ত নিজের লড়াই সহস্র বাধা, নিষেধ...
সময় পেলে তাকিয়ে দেখো তোমার সেই ছেড়ে যাওয়া মাঝ পথে,
মন কেমন চোখ বুজে গরল পথে আবেগ খোঁজে!
ফিরতি পথে আবারো এক যুদ্ধ হবে, ভাঙবে শহর;
আবারও কোনো বৈরী হাওয়ায় ফুৎকারে ভাঙবে বাড়ি-
চিরকাল ঘাতক সময়ের বেজন্মা উপহাস,
বলো তবে আমি কি তোমার হৃদয়ের খণ্ড পড়তে পারি?
মন ভাঙ্গার পথের লড়াই আজ প্রায় শেষ,
নতুন করে লড়তে চাওয়ার এক টুকরো মরিচিকা -
রাত জেগে জলে ডুবে থাকা বাঁশ কাঠি,
ক্ষুদ্র কামনার সর্বনাশা অপচয়ের প্রহেলিকা!
এখানে জোনাকিরা ফিরে যায় আপন পথে, অন্ধকারও হার মানে,
হাতের রেখা আর কপালের ভাজে,
বাঁচার স্বপ্নগুলো ভিড়বে কি কোনো ঠিকানায়?
এখানে পাড়া পড়শী মুখোশ চিনে ফেলে;
শরীরে আতর মাখে, ভাঙা হৃদয় দুর্লভ-
কালি কলমে ছেঁড়া চিরকুট লিখে,
অপ্রচলিত শব্দের গলিত মৃত শব!
হয়তো মিলবেনা সব সমীকরণ, কান্না ভেজা কবিতার-
তোমায় ভেবে মনখারাপি ইচ্ছে নয় অভ্যেস আমার!