পাহাড় চূড়ায় একটি কাঠের কুটীর,
সেখানেই যেন আমাদের দেখা হয়;
বাইরে তখন ভীষন ঠান্ডা, বরফ--
আমরা গরমে গলে যাবো সন্ধ্যায়।


সারা দিন-রাত ফায়ারপ্লেসের আগুন,
ধিকি ধিকি করে একটানা জ্বলে যাবে;
আমরা তখন জড়িয়ে শরীরে মনে --
চোখে চোখ রেখে, জগৎ বিলুপ্ত হবে।


আমরা তখন অধর-পানে মত্ত,
আমরা তখন নদী, অথবা ঝর্ণা;
বাইরে তখন অবিরাম তুষার বর্ষা,
আমরা তখন দুজনেই আর কারো না।


আমরা তখন আকাশে দুইটি মেঘ,
মাটিতে নেই, হাওয়ায় ভাসব যেন;
আমরা তখন বিদ্যুৎ বারি ধারায়--
ছিন্ন-ভিন্ন দুইটি দামাল হেন।


ঘন নিঃশ্বাস গুলো তপ্ত বালুর মত,
উষ্ণ স্পর্শে বলে যাবে যেন “জাগো”,
ভিতরে আমার সংযম আছে যত --
এক লহমায় ভেঙে পড়ে যাবে ওগো।


তখন আমি বর্শা, ধারালো ছুরি,
ফলায়-ছিলায় ছবি আঁকি গেঁথে-কেটে,
তুমি তখন মেলে ধরা ক্যানভাস,
সেই ক্যানভাসে অজন্তা ইলোরা ফোটে।
             ~~~~~◆~~~~~
কালনা
১৪/১১/২০২২