অনেক দিনের পরে চাঁদ দেখলাম আজ,
ধীরে ধীরে কেটে গেছে অনেকগুলি নিমেষ—
ভুলে গেছি আজকে আমি আমার যত কাজ,
প্রহর কেটে গেছে তবু হয়নি দেখা শেষ।


গগন মর্ত্য ভাসিয়ে দেওয়া চতুর্দশীর চাঁদ—
মায়াবী আলোয় ভেসে গেছে দূরের তমাল বন,
ভেঙে গেলো আজকে আমার খেয়াল নদীর বাঁধ,
জ্যোৎস্না আলোয় উঠল ভরে আমার শূন্য আমার মন।


ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছি আমিই শুধু একা,
মধ্যরাতে কেউ কোত্থাও নেই যে আর চেয়ে,
চোখের 'পরে সবার এখন ঘুমের চাদর ঢাকা—
হটাৎ দেখি দূরে যেন দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে;


আমার মতই দাঁড়িয়ে সে অপর একটি ছাদে,
আর কেউ তো নেই যে পাশে, দাঁড়িয়ে সে একা—
হালকা হিমেল হাওয়ায়, বসন্তের এই রাতে
মনে মনে চাইছে যেন তার প্রেমিকের দেখা।


চাইছে শুধু, পাচ্ছে না তো মনের মানুষটাকে,
নিঝুম রাতে মনের ভিতর দুঃসহ সে টান,
হটাৎ করে খেজুর গাছে রাতের পাখী ডাকে—
একা একা দাঁড়িয়ে যেন হাঁফিয়ে ওঠে প্রাণ।


ধীরে ধীরে পূবের আকাশ উঠলো রাঙা হয়ে—
মায়ার আলো রইলো না আর , এলো নতুন ভোর;
তাকিয়ে দেখি, ‘একলা মেয়ে’ গিয়েছে হারিয়ে,
হয়ত সোহাগ-আশা ছেড়ে দিয়েছে ঘরে দোর।


রাত্রী জাগা ক্লান্ত চোখে ঘুম আসে না আর,
সকল নিদ্রা দিচ্ছে ধুয়ে রাতের ‘একলা মেয়ে’;
আজ সন্ধ্যায় আকাশ 'পরে উঠবে চাঁদ আবার,
‘একলা মেয়ে’ থাকবে কি আর একলা দাঁড়িয়ে ?
------------●------------
কালনা, ০৪/০৩/২০১০