এই ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ তমসাকীর্ণ রাত্রী পৃথিবীর আদিম রূপ,
এ ধরিত্রীর বুকে আমাদের লড়াইয়ের পরীক্ষা দিতে হবে আজ –


এর চেয়েও অগ্নিগর্ভ, উত্তপ্ত ছিলো এ ধরা একদিন,
উত্তপ্ত গলিত লাভার রক্তিম আলোকে সে নিজেই ছিল আলোকিত;
সেই প্রচন্ড তাপ কে প্রশমিত করেছে শুধু প্রাণের লালনের জন্যে;
অযুত কোটি আলোকবর্ষ ব্যাপী জ্ঞাত অগণিত গ্রহ-গ্রহাণুর মাঝে
আজ সে একা ধরে রেখেছে প্রানের স্পন্দন—সগর্বে।
প্রত্যেকটি শরীরের মধ্যে প্রত্যেকটি প্রাণের স্পন্দনকে লালন করার
লড়াই, রক্ষা করতে পারার পরীক্ষা আজ।


যুগ যুগ ধরে সভ্যতার উন্নতির অবশ্যম্ভাবী গ্লানি  
এই শহর, নগরের রাজপথে, গলিতে, আনাচে-কানাচে;
জলে, বাতাসে, মাটিতে, এমনকি অন্তরীক্ষেও সভ্যতার বিষ্ঠা।
এই গঙ্গা, ওই আমাজন, ওই আফ্রিকা—লক্ষ লক্ষ জনপদ,
কোটি কোটি গোষ্ঠীবদ্ধ অগণিত প্রাণ, তার সাথে অনাগত আরো
অযুত ভাবী প্রাণকে পরিচ্ছন্ন বাসভূমি, বিশুদ্ধ বাতাসের নিশ্চয়তা
দেওয়ার লড়াই, নিষ্কলুষ আবহ দেওয়ার পরীক্ষা আজ।

সভ্যতার আলো মাখা, উন্নতির শিখরে উন্নীত মুকুট পরিহিত
হে জীব-শ্রেষ্ঠ, হে জীবকুল-চূড়ামনি, হে মানব—
আজ ক্লেদ মুক্ত পবিত্র সেই আদিম ধরা কে উদ্ধার করার লড়াই—
এ লড়াই তোমার, একান্তই তোমার; কারন—
যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত এই ক্লেদ, এই কলুষতা, এই গ্লানি,
এই অপবিত্রতার দায় ও তোমার, একান্তই তোমার।
এসো, হাতে হাত ধরে লড়াই কর, প্রায়শ্চিত্ত কর ।।
        -----●-----
চুঁচুড়া, ২৮/১০/২০১৯