দিনের শুরুতে আলাপ তোর সাথে;
সেই শুরু জানা-শোনা, এক অন্য মিতালী;
পথচলা পাশাপাশি হাসিতে খুশিতে
ক্ষুধার আগুনে জ্বলে যাওয়া প্রাণ, দেহ, মন—
তবু দুজনের মাঝে ছিলো ন্যূনতম ব্যবধান।


সমস্ত দ্বিপ্রহর মাথার আকাশে গনগনে
রৌদ্র-তাপ, উন্মত্ত-উত্তপ্ত যৌবন
হেলায় চলে গেছে অপ্রয়োজনীয় সংযমে-
অনন্য আবাহনে তরঙ্গিত দুটি প্রাণ—
তবু গেল না কিছুতেই সামান্য ব্যবধান।


বিকেলের তাপিত মাটিতে পা রাখলাম—
তবু কেন তপ্ত হলো না মন? কমলো না
সামান্য ব্যবধান? কখনো এসেছি কাছে
দূরে গেছি শতগুন; হাঁসি, গান, কত ঝড়
গায়ে মেখে পাশাপাশি এতদিন; তবু ব্যবধান।


সন্ধ্যায় নব জ্যোৎস্নার মায়া-আলোর টানে
যেন কখনো একবার হাতের সামান্য ছোঁয়া-
তবুও ঘুচলো না ব্যবধান; চোখে চোখ রেখে
কেটে গেলো কত কত বে-হিসাবি সময়—
তবুও তো থেকে গেলো সামান্য সে ব্যবধান।


এখন অচঞ্চল, ঘুমে ঢলে পড়া নিস্তব্ধ
মধ্যরাতে, চাঁদ যখন পশ্চিমের প্রান্তে ক্লান্ত
জ্যোৎস্না হারিয়েছে সুপারির লম্বা ছায়ায়,
আমার রাতচরাদের মত জ্বলন্ত চোখে
স্থির দৃষ্টি, হটাৎ কমছে যেন ওই ব্যবধান।


মনে হয় কতকাল ব্যাপী এই আপাত অনন্ত
রাত, এই মধ্য রাতে চাঁদ এলো আমার ঘরে,
আমার বিছানায়, অদ্ভুত সে আলোয় থেমে
যাওয়া রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে কানে এলো
আমার অধর ছিঁড়ে নেওয়া তোর অশান্ত নিঃশ্বাস।।
         ~~~~~●~~~~~