এই মোহময় জ্যোৎস্না-স্নাত রাতের মুগ্ধতা
                            আমায় জাগিয়ে রাখে,
স্নিগ্ধ, নরম, ঘোলাটে-সাদা আলোয় মাখা রাত
                            আমায় জাগিয়ে রাখে;
ঘষা কাঁচের সার্শীর মত অস্পষ্ট আকাশের গায়ে
                        প্যাঁচা, বাদুরেরা ডানা মেলে,
কালো অশরীরির মত দাঁড়ানো নারকেলের পাতা
                        হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে দোলে।


উঠানে ধানের গোলা সমাধিস্থ সন্যাসীর মত
                       উবু হয়ে বসে থাকে নিশ্চুপ,
দূরে, যেন দিগন্তের ওপার হতে কীর্তন গান
                       শোনা যায়, বাকি সব চুপ;
মাঝে মাঝে সারমেয় কূল হয়ত খাবারের ভাগ
                       নিয়ে ভেঙে দেয় সে নিস্তব্ধতা,
এমনই মায়াবী রাতে, নিঃসঙ্গতা কে বুকে বেঁধে
                       কবিরা লিখে চলে কত কবিতা।


বিনিদ্র আমি জানলার ধারে মুখ রেখে অকারণ
                       পান করি হলাহল, অথবা মরণ,
যদিও সুখের সে বিষ ধোঁয়া হয়ে উড়ে যায়
                       আকাশে, তারও ঘোলাটে বরণ;
হয়ত এমন রাতেই পরীরা নেমে আসে ভূমে
                       রূপ, লাবণ্য, চপলতা নিয়ে,
মৃত্যুও হয়ত এমনই রাতে নেমে আসে ঝুপ করে,
                        চলে যায় কোনো প্রাণ নিয়ে।।
                          ------ ■ ------
এক্তারপুর, হুগলী
২৯/০৩/২০২১