আজ এতদিন পরে একটা নিষ্পত্তি হলো,
আজ জানলাম, তোমার চোখের কালো হেম
আমার বেঁচে থাকার আরেক নাম হয়েছে;
তোমার হাসিতে রয়েছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন।


আমিও এখন গোধূলিতে  রাঙা হয়ে যাই --
জানলাম বসন্তের গোধূলিতে তোমার চোখের ভাষায়;
দুই ঠোঁটের মাঝখানে আঙ্গুল ছোঁয়ানো তোমার
হাসিতে বুঝলাম, এ বুকে হৃৎপিণ্ড এখনো লাফায়।


আমি স্থির জানতাম ভালোবাসো তুমি আমায়,
আমার মরমে দিনরাত সেই খবরের আনাগোনা--
এই বসন্তে জানলাম, আমি মাঘের শীতের মত,
হিমের জড়তা কাটিয়ে তোমার কাছে যাওয়া হলো না।


একদিন শীত চলে যাবে, চৈত্রের দুপুরে ঘামবে শরীর,
উষ্ণ প্রস্রবনের জলের মত গরম হাওয়ার উড়বে চুল
একদিন রাজপ্রাসাদের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়াবে যুবক
যদি দেখতে পাও, ভ্রু-কুঞ্চিত দৃষ্টিতে হয়ত ভাঙবে ভুল।


সে যুবকও মনে মনে মরেছে শতবার, পথে-ঘাটে-প্রান্তরে
অলক্ষে চোখ ভিজেছে, রাতের গভীরে তোমারই মত
ময়ূরের পেখমের মত ছড়িয়ে পড়া উদাসী মনের ভিতরে
না-পাওয়া, না-হওয়ার বেদনার অজস্র গভীর ক্ষত।


ফাগুন-দুপুরে পথের ধারে বসে তাই চৈত্রের অপেক্ষা
প্রতি পলে পলে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে কাটাই সময়,
এ বিষন্ন দুপুর, বিষন্ন রাত, রাতের শেষে ক্লান্ত সকাল-
সারা দিন কর্মে-অকর্মে-অবসরে মন শুধু তুমিময়।
                      ----◆----
চুঁচুড়া,
০৮/০৩/২০২৩