“কবিতার ঘোর”


কবিতা; কবিদের প্রাণের স্পন্দন।
কবিতা; কোন সংজ্ঞায় যায়না সংজ্ঞায়িত করা।
কবিতা; ছন্দ আবার ছন্দবিহিন।
কবিতা; কখনো তেজস্ক্রিয় সূর্য, মায়াকারা চাঁদ, বহ্নিশিখা-
কালবৈশাখী ঝড়।
কবিতা; কবির হৃদয়ের কখনো হাসি, কান্না, ভালবাসা, বিরহ।
দিন আর রাতের ন্যায়-
মানব জীবনে আসে উথান-পতন।
কখনো আঁখি মেলে সমস্ত শরীর আর মস্তিষ্ক জুড়ে-
অন্যরকম এক ঘোর এর মাদকতা অনুভূত হয়।
শরীর অবসাদ হয়ে আসে; ঘোর চায়না কিছুতেই কাটতে।
ঠিক তেমনি একটি ঘোর কবিদের জন্য-
“কবিতার ঘোর”।
জোড় করে এই ঘোরের মাদকতার আস্বাদন পায় না কবির হৃদয়।
ভালবাসার মানুষটির জন্য প্রতীক্ষার ন্যায়-
কবিদের কাছে “কবিতা” প্রেয়সী; যাকে ইচ্ছে করে ভালবেসে ছুঁয়ে দিতে।
সেই সাথে কবিতার ভালবাসাও পেতে চায় কবির হৃদয়।
তবু সবসময় দেয় না ধরা “কবিতা” প্রেয়সী।
“কবিতা” আমার কাছে আফিমের মতো।
ইচ্ছে করে “কবিতার ঘোর” মাদকতায় ডুবে থাকতে-
সবসময় হয়না মাতাল হওয়া।
যখন আমার শরীর, মন “কবিতার ঘোর” মাদকতায় আছন্ন-
গোটা একটি দিনেই তিনটি কিংবা চারটি কবিতা লেখা হয়ে যায়।
সেই মাদকতায় কবিতায় উঠে আসে-
বিরহ, ভালবাসা, প্রতিবাদ কিংবা মাদকতার ছবিমালা;
কবিতার কথামালায়।
সেই “কবিতার ঘোর” কেটে গেলে আমিও স্বাভাবিক হয়ে যাই।
মনেই হয়না এই কবিতার সৃষ্টি করেছি স্বয়ং আমি।
“কবিতার ঘোর” হোক কবিদের সঙ্গী-
একেকটি অনন্য “কবিতা” সৃষ্টিতে।