“অনুভূতিতে রঙের ছোঁয়া”


রং-যা সৃষ্টিকর্তার এক অনন্য সৃষ্টি।
প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানে মিশে আছে সাতটি রং;
সাতটি রং একসাথে আসহবেনীকলা যা আকাশের বুকে-
এক পশলা বৃষ্টির পর সূর্যের কিরণে আবির্ভূত হয় রংধনু হিসেবে।
তাইতো তো ধরিত্রীর প্রকৃতি এতো রঙ্গিন; এতো সুন্দর।
হৃদয়কে করে বিমোহিত একেকটি রং।
মানব হৃদয়ে গভীর “স্পর্শকাতর পরশ”-“অনুভূতি”
“অনুভূতি” নয় দৃশ্যমান শুধুই তা মনের প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন!
সেই অনুভূতি রঙ্গিন না রংবিহীন নেই জানা তা কারোর।
তাইতো মানব খুঁজে পায় তাদের “অনুভূতিতে রঙের ছোঁয়া”।
“লাল” রং মানব হৃদয়ের “ভালবাসা”; নতুন কিছু শুরুর অনুভূতি।
ঠিক যেমন সিঁদুরের “লাল” রং-
প্রকৃতির লাল গোলাপ দিয়ে ভালবাসার প্রস্তাব।
আবার সেই “লাল” রং “বেদনা আর যন্ত্রণার”;
যখন কারোর শরীর থেকে রক্ত ঝরে জীবনের হয় অবসান।
“নীল” রং কষ্ট আর প্রাণোচ্ছলতা।
মেঘবিহীন স্নিগ্ধ “নীল” আকাশ হৃদয়কে করে উচ্ছ্বসিত।
ম্যাসেঞ্জারে প্রিয় মানুষটিকে পাঠানো দুটি “নীল” টিক চিহ্ন-
খুশিতে ভরিয়ে দেয় হৃদয়।  
সেই সাথে বেদনার অনুভূতি “নীল” রং।
“কালো” রং শোকের আর মেঘলা দিনে-
“কালো” মেঘ মনের মাঝে হিমেল পরশ যায় দিয়ে।
“হলুদ” রং প্রকৃতির বসন্ত, বন্ধুত্ব আর নতুন কিছু সৃষ্টি।
যেমনটি বিয়ের আগে “গায়েহলুদ”।
“সবুজ” রং মানব হৃদয়ের সজীবতা আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতা।
“সাদা” রং প্রকৃতির শুভ্রতা আর নতুন অনুভূতির সৃষ্টি।  
ঠিক যেমন ভালবাসার সূচনা হয়ে-
সময়ের সাথে সাথে নানা অনুভূতির পরশ।
“অনুভূতিতে রঙের ছোঁয়া” হোক-
একটি মানবের হৃদয়ের নানা অনুভূতির দর্পণ।