“অন্তর মৃত্যু”


আঁখি-
সে তো মানব আবিষ্কারকের সৃষ্টি “ক্যামেরা” আর;
চিত্রশিল্পীর “রং তুলির” ন্যায়।
যা কিছু দেখে তাই বন্দী করে হৃদয়ের ফ্রেমে কিংবা হৃদয়ের ক্যানভাসে।
তাই তো প্রেয়সীর আঁখি নিয়ে আছে-
কতোই না গান, কবিতা আর প্রেমিক যুগলদের ভালবাসামাখা কাব্যমালা!
মানবের স্পর্শহীন এবংদৃশ্যহীন আরো একটি আঁখি আছে তা হলো;
“অন্তর আঁখি”!
যে আঁখি শুধু হৃদয়ে ভালবাসার মানুষগুলোকে বন্দী করে।
সেই আঁখি শুধু অনুভব করতে হয়;
সেই সাথে আলতো করে ছুঁয়ে দিতে হয় হৃদয়ের ভালবাসা দিয়ে নয় হস্ত দিয়ে।
অভিমান কিংবা প্রিয় মানুষটির বিরহে যখন-
“অন্তর আঁখি” বন্ধ হয় তখন হৃদয় হয়ে যায় ভালবাসাশূন্য আর মুখশ্রী হয় মলিন।
আঁখি হয় অশ্রুসিক্ত!
বিয়ের পর স্বামীর সাথে বাঁধে হৃদয় আমৃত্যু পর্যন্ত তাঁদের স্ত্রী।
অনেক যুগ আগে ছিল “সতীদাহ প্রথা”।
স্ত্রীদের সতী করতে প্রমাণ “স্বামীর চিতায় জ্বলতো বাধ্য হয়ে”।
এই প্রথাতে হয়তো স্ত্রীদের “অন্তর মৃত্যু” সেই চিতার অগ্নিতে ছাই হয়ে যেত।
সেই প্রথা তো বন্ধ করেছিলেন “রাজা রামমোহন রায়” সমাজ থেকে।
তবে কি পেরেছিলেন বন্ধ করতে স্ত্রীদের “অন্তর মৃত্যু” দহন তাঁদের অন্তর থেকে।
আজ একবিংশ শতাব্দী।
আজো স্ত্রীদের কিংবা প্রেয়সীদের “অন্তর মৃত্যু” হয়-
যখন তাঁদের স্বামী কিংবা ভালবাসার মানুষটিকে হারায় জীবন থেকে।
সেই “অন্তর মৃত্যু” দহন চিতার অগ্নি কিংবা দিয়াশলাইয়ের অগ্নির চেয়ে-
কোন কিছুতেই কম নয় যা;
প্রতিমুহূর্তে দেয় মৃত্যুযন্ত্রণা।
তখন স্বামীহারা স্ত্রী আর ভালবাসার মানুষহারা প্রেয়সীরা-
জীবিত থেকেও মৃত।
সময়ের আগে কোন মানবের “অন্তর মৃত্যু” যেন না হয়।